মোবাইল কানে, ট্রেকার থেকে পড়ে মৃত্যু যুবকের

স্থানীয় সূত্রে খবর, একাদশী বেরা নামে বছর পঁচিশের ওই যুবকের বাড়ি পটাশপুর অমরপুর গ্রামে। শনিবার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ি থেকে খাড় বাসস্ট্যান্ড হয়ে ট্রেকারে চড়ে বাড়ি ফিরছিল সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটাশপুর শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাস্তায় চলাফেরা করার সময় মোবাইলে কথা বলা নিরাপদ নয়— প্রশাসনের তরফে বারবার এই প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও সচেতনতা বৃদ্ধি কি আদৌ হচ্ছে— উঠছে প্রশ্ন! মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে চলন্ত ট্রেকার থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। দুর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার সন্ধ্যায়। রবিবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, একাদশী বেরা নামে বছর পঁচিশের ওই যুবকের বাড়ি পটাশপুর অমরপুর গ্রামে। শনিবার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ি থেকে খাড় বাসস্ট্যান্ড হয়ে ট্রেকারে চড়ে বাড়ি ফিরছিল সে। প্রসঙ্গত, এক মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ— ট্রেকারে বসার জায়গা না পেয়ে, গাড়িতে কোনও রকমে ঝুলেই ফিরছিল সে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, জুনপুকুর বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি এলাকায় ট্রেকারটি পৌঁছলে যুবকের একটি ফোন আসে। এবং এক হাতে ট্রেকারে ঝুলতে ঝুলতে তিনি মোবাইলে কথা বলতে থাকেন। কিন্তু ওই এলাকার রাস্তা খারাপ হওয়ায় ঝাঁকুনিকে আচমকাই হাত ফসকে যায় তাঁর।

আহত অবস্থায় ট্রেকারের যাত্রীরা তাঁকে প্রথমে পটাশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে রাতে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দুর্ঘটনার পর অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় ট্রেকার চালকদের দিকে। অভিযোগ, বাড়তি লাভের আশায় তারা বিপজ্জনক ভাবে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়। একই চিত্র কাঁথি, এগরা, ভগবানপুরেও। এ বিষয়ে এগরা মহকুমা পরিবহণ ইউনিয়নের সভাপতি চন্দ্রশেখর রায় বলেন, ‘‘ট্রেকারে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় গাড়ি না পেয়ে যাত্রীরাই জোর করে ট্রেকারে ঝুলে আসতে চান। সাধারণ মানুষকেই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’’ এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শেখ আখতার আলি বলেন, ‘‘পুলিশ প্রতিনিয়ত ট্রেকারগুলির উপর নজরদারি চালাচ্ছে। পুজোর আগে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement