স্পর্শের ভাল-মন্দ বোঝাতে শিবির

নারী নির্যাতন, শ্লীলতাহানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের যৌন নিগ্রহের মতো ঘটনাও। সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, শারীরিক ভাবে সুস্থ তরুণী-কিশোরীদের পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও বালিকারাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দাঁতন শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:১৬
Share:

চলছে প্রশিক্ষণ। নিজস্ব চিত্র

কিশোরী এবং তরুণীদের যৌন নিগ্রহ সম্পর্কে সচেতন করতে উদ্যোগী হল খড়গপুর আইআইটি-র পড়ুয়ারা। শনিবার দাঁতনের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের বিদ্যালয়ে এসে স্পর্শের ভাল-মন্দ বোঝাতে কর্মশালা করলেন তাঁরা।

Advertisement

নারী নির্যাতন, শ্লীলতাহানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের যৌন নিগ্রহের মতো ঘটনাও। সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, শারীরিক ভাবে সুস্থ তরুণী-কিশোরীদের পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও বালিকারাও। দাঁতন মানব কল্যাণ কেন্দ্রে যমুনা বালিকা বিদ্যালয় ও নিয়তি ডে কেয়ার মিলে প্রায় ৪০ জন পড়ুয়া রয়েছে। এ দিন মূলত ১৮ বছরের চেয়ে কম বয়সের পড়ুয়াদের নিয়েই এই কর্মশালা করা হয়।

খড়্গপুর আইআইটির উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ‘বাল রক্ষক’ গোষ্ঠী। প্রায় দশজন পড়ুয়াকে নিয়ে প্রতি মাসে স্কুলগুলিতে এই ধরনের কর্মশালা করেন এই গোষ্ঠীর সদস্যরা। গবেষক পড়ুয়া সংস্থার প্রধান তুরিন দত্ত জানাচ্ছেন, ‘‘পরিচিত এবং অপরিচিতদের দ্বারা শিশুরা যৌন নিগ্রহের শিকার হয়ে থাকে। শরীরের কোন কোন অংশ স্পর্শ করলে, তা যৌন নিগ্রহের পর্যায়ে পড়ে— তা শিশু ও বালিকাদের জানানো হয়।’’

Advertisement

জানা গিয়েছে, অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়লে জোরে চিৎকার করে প্রতিবাদ জানানো, আক্রমণকারীকে আঘাত করা এবং দ্রুত এলাকা থেকে সরে সুরক্ষিত জায়গায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও হেল্পলাইন ১০৯৮ নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দেন আইআইটি পড়ুয়ারা। মানব কল্যাণ কেন্দ্রের পড়ুয়া হাবিবা খাতুন, আলপনা পটাটের কথায়, ‘‘কেউ শরীরের গোপন জায়গায় হাত দিলে, কীভাবে মোকাবিলা করব— সেগুলোই শিখলাম।’’ আইআইটি-র পড়ুয়া সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মেয়েরাই বেশি নিগ্রহের শিকার হয়। তাদের সচেতন করা হয়েছে। আইনি পদক্ষেপগুলি সম্পর্কেও জানানো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement