— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ঝাড়গ্রাম জেলায় নতুন ভোটার বাড়ল প্রায় ২৩ হাজার। রাজ্যের তিন জেলায় পুরুষের চেয়ে মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি। সেই তালিকায় দার্জিলিং, কালিম্পঙের পাশাপাশি রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলাও। ভোটদানে উৎসাহিত করতে পথে নামল কমিশনের ঝাড়গ্রাম জেলার ম্যাসকট ‘ভুটুদা’।
ঝাড়গ্রাম জেলায় ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। জেলায় ঝাড়গ্রাম বিনপুর, গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রাম এই চারটি বিধানসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা হয়েছে ৯৪৯৪১৩ জন। ঝাড়গ্রাম জেলায় এখনও পর্যন্ত ২২৭১০ জন নতুন ভোটার হয়েছেন। জেলায় পুরুষ ভোটার ৪৭২৪৬৮ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৪৭৬৯৩৩ জন। এ ছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গ ১২ জন রয়েছেন। জেলায় ভোটারদের মধ্যে লিঙ্গের অনুপাতিক হার ১০০৯।
নতুন ভোটার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গতবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপি দখল করেছিল। কিন্তু গত বিধানসভা ও পঞ্চায়েতের নিরিখে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। তৃণমূল এ বার এই আসনটি দখল করতে মরিয়া। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুন্ডু বলেন, ‘‘পুরো যুব সমাজ বিজেপির পক্ষে রয়েছে। রাজ্যে যে হারে দুর্নীতি ও চাকরি বিক্রি হয়েছে তাতে যুব সমাজ হতাশায় ভুগছে। তাই তাঁরা বিজেপির সরকারের উপর আস্থা রাখবে।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখছে। গাছে কাঁঠাল রয়েছে আর বিজেপি গোঁফে তেল দিচ্ছে। নতুন প্রজন্ম বিজেপির ভাঁওতাবাজ, ভন্ডামি ও ধর্মীয় মেরুকরণ ধরে ফেলেছে। নতুন প্রজন্ম থেকে আশি পর্যন্ত মানুষজন তৃণমূলের সঙ্গে থাকবে।’’ দুলালের দাবি, এবার তৃণমূল বিপুল ভোটে লোকসভায় জয়ী হবে।
নিবার্চনী ম্যাসকটের উদ্বোধন করছেন জেলাশাস —নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম শহরের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণ মাঠে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে প্রথমে জেলার ম্যাসকটের উদ্ধোধন করেন জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল। এ বার জেলার ম্যাসকট হল ‘ভোটের হরিণ ভুটুদা’। তারপর একটি ট্যাবলোর উদ্বোধন করেন জেলাশাসক। ভোটদানে উৎসাহিত করতে ও নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার জন্য শহরে পদযাত্রা হয়। সেই পদযাত্রায় জেলা প্রশাসনের আধিকারিক থেকে লোকশিল্পী ও নতুন প্রজন্মের ভোটাররা ছিলেন। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের চত্বরে ওয়াল অফ ডেমোক্রেসিতে নির্বাচনী ম্যাসকটটি আঁকেন জেলাশাসক। সিদো-কানহো সভাকক্ষে একটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে আটটি ব্লকের বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার)দের ভাল কাজের জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রামের নির্বাচনী আইকন করা হয়েছে ভারতীয় দলের বিশেষ সক্ষম ক্রিকেটার শুভেন্দু মাহাতোকে। এ দিন শুভেন্দুকে সংবর্ধনা দেন জেলাশাসক। শুভেন্দুকে নিয়ে ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য সরকারি ভাবে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। সেই তথ্যচিত্র জেলা জুড়ে প্রচার করা হবে।
আগে প্রশাসনের উদ্যোগে মহিলা ভোটারদের নিয়ে একটি ফুটবল খেলা হয়েছিল। ফাইনাল খেলা হয়েছিল সাঁকরাইল ও বিনপুর-১ ব্লকের মধ্যে। জয়ী হয়েছিল সাঁকরাইল।