এই প্রথম মহিলা ভোটকেন্দ্র পশ্চিমে

এই প্রথম জেলায় থাকছে মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণকেন্দ্র। একটি দু’টি নয়, একেবারে ১১টি। ওই বুথগুলিতে ভোটকর্মীরা সকলেই মহিলা। জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন, “ঘাটালে তিনটি, খড়্গপুরে চারটি ও মেদিনীপুরে চারটি-মোট ১১টি কেন্দ্রে এ বার মহিলারা ভোট নিবেন।” নিয়ম অনুযায়ী ওইসব বুথের ভোটকর্মীরা ভোটের দিন ভোরেই কেন্দ্রে পৌঁছবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৬ ০১:১৩
Share:

এই প্রথম জেলায় থাকছে মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণকেন্দ্র। একটি দু’টি নয়, একেবারে ১১টি। ওই বুথগুলিতে ভোটকর্মীরা সকলেই মহিলা। জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন, “ঘাটালে তিনটি, খড়্গপুরে চারটি ও মেদিনীপুরে চারটি-মোট ১১টি কেন্দ্রে এ বার মহিলারা ভোট নিবেন।” নিয়ম অনুযায়ী ওইসব বুথের ভোটকর্মীরা ভোটের দিন ভোরেই কেন্দ্রে পৌঁছবেন।

Advertisement

সূত্রের খবর, কেরালা-সহ অনান্য রাজ্য গুলিতে প্রায় ৪০ শতাংশ মহিলা ভোট কর্মী ভোটে অংশ নেয়। সরকারি মহিলা কর্মীদের ভোট প্রক্রিয়ার সম্যক ধারণা দিতেই কমিশনের এ ধরনের বুথ তৈরি করেছে অনেক আগেই। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরেও তেমন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে।

শুধু তাই নয় জেলায় এ বার ১৪৭টি আদর্শ বুথ তৈরি হচ্ছে জেলা। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে এ বার মডেল বুথের সংখ্যা বেড়েছে অনেকগুলি। জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা বলেন, “গত লোকসভা ভোটেও মডেল পোলিং স্টেশন হয়েছিল। তবে সংখ্যায় ছিল কম। তবে মহিলা ভোট কর্মী পরিচালিত বুথ এবারই প্রথম।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলায় ১৯টি বিধানসভায় মোট বুথের সংখ্যা ৫৩৩৭। প্রতিটি আদর্শ বুথের জন্য ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করেছে কমিশন। তবে কম পড়লে টাকা বাড়ানোর একটা সবুজ সঙ্কেতও মিলেছে।

Advertisement

মডেল পোলিং স্টেশন গুলির ২০০মিটার আগেই দেখা যাবে ফেস্টুন। সেখানে থাকবে জেলা প্রশাসনের প্রতিটি স্তরের আধিকারিকদের নাম ও মোবাইল নম্বর। লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের জন্য থাকছে শেডের ব্যবস্থা। সেখানে থাকবে আলো ও পাখা, পরিশ্রুত পানীয় জল, শৌচাগার। বুথের পাশেই হেল্প ডেস্ক রাখার ব্যবস্থাও করেছে কমিশন। সেখানে থাকবেন একাধিক সরকারি কর্মী। ভোট দিতে এসে সমস্যায় পড়লে হেল্পডেস্কের সাহায্য পাওয়া যাবে। থাকবেন চিকিৎসকও, পর্যাপ্ত ওষুধও। বৃদ্ধ বা অসুস্থ এবং প্রসূতিদের যাতে বেশিক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে না হয় সে জন্য আগে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এ বার বিশেষ ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভোটার চাইলে সেখানে বসে অপেক্ষা করতে পারেন। থাকবে হুইল চেয়ারও।

সাধারণত যে সব স্কুল কলেজকে ভোটকেন্দ্র হিসাবে বেছে নেওয়া হয় সেখানকার পানীয় জল, শৌচাগার ব্যবহার করেন ভোটকর্মীরাই। এ বার ভোটারদের জন্যও পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে আদর্শ বুথগুলিতে। খোলা থাকবে শৌচাগারও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement