হলদিয়া–মেচেদা জাতীয় সড়কের সংলগ্ন খাল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় এক মহিলার দেহের দুটি অংশ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তমলুক থানার রাধামনি বাজারের কাছে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন কামারবাড় গ্রামের খালের জল থেকে ওই দেহ উদ্ধারে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অজ্ঞাত পরিচয় ওই মহিলার দেহের মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত অংশ একটি বস্তার মধ্যে ছিল। আর কোমরের নিচ থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত অংশ আরেকটি বস্তার মধ্যে ভরা ছিল। গলার নলিও কাটা রয়েছে। মহিলার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অন্য কোনও এলাকায় ওই মহিলাকে খুন করে দেহ ফেলে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছর দেড়েক আগে এই স্থান থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে সোনাপেত্যা এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে নয়ানজুলিতে এক মহিলার গলা কাটা মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার এখনও কিনারা হয়নি। এদিন ফের জাতীয় সড়কের ধারে মহিলার দু’টুকরো করা দেহ উদ্ধারে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া – মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে তমলুক থানার রাধামনি বাজারের কাছে কামারবাড় গ্রাম । গ্রামের মধ্যে একটি নিকাশি খাল জাতীয় সড়কের তলা দিয়ে গিয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে প্রায় ৫০ মিটার পশ্চিমে ওই খালের উপর কাঠের সেতুর খুটিতে জলে একটি বস্তা আটকে ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বস্তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেন। তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে ওই জল থেকে বস্তা তোলার পর এক মহিলার মৃতদেহের একাংশ দেখতে পান। এরপর খোঁজ চালিয়ে কিছুটা দুরেই খালে আরেকটি বস্তা উদ্ধার করে তাঁর দেহের দু’টি উদ্ধার করেন। ওই খাল বরাবর জাতীয় সড়কের ধারে রেলিংয়ে রক্তের দাগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা ওই মহিলাকে খুনের পর বস্তাবন্দি দেহের দু’টি জাতীয় সড়কের ধারে ওই এলাকায় খালের জলে ফেলে পালিয়েছে। অন্য দিকে এ দিনই সকালে পাঁশকুড়া থানার বৃন্দাবনচক গ্রামের কাছে পুরুনো কাসাই নদীর চর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । প্রায় বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।