পর্যটন কেন্দ্র তৈরির কাজ খতিয়ে দেখছেন জেলা শাসক রশ্মি কোমল। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্ণগড় মহামায়া মন্দির ঘিরে সরকারি পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে তোলার কাজ শুরু করল প্রশাসন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে মাঝে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল এই কাজ। মন্দির সংলগ্ন পরিখা এলাকাটিকে সাজানোর পাশাপাশি পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কয়েকটি আধুনিক ব্যবস্থা সম্পন্ন কুঁড়ে ঘর বা কটেজ তৈরি হয়ে পড়েছিল। থমকে যাওয়া সেই কাজেই নতুন করে হাত লাগালো জেলা প্রশাসন।
পর্যটন কেন্দ্র তৈরির কাজ কেমন এগোচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার বিকেলেই এলাকায় হাজির হয়েছিলেন জেলা শাসক রশ্মি কোমল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই অতিরিক্ত জেলা শাসক তুষার সিংলা, কূহুক ভূষণ এবং শালবনীর বিডিও প্রনয় দাস।
রশ্মি বলেন, "কর্ণগড় মহামায়ার মন্দিরের কাছেই রয়েছে রানি শিরোমণি গড়। পুজো দেওয়ার পর অনেকেই গড় এলাকা ঘুরে দেখতে যান। পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। রাতে থেকে পুজো দিয়ে যাতে তাঁরা গড় ঘুরে দেখতে পারেন সে জন্য তৈরি করা হয়েছে কটেজ। সেখানে জল, আলোর সুব্যবস্থাও থাকছে। এ ছাড়া কাছে পিঠে থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার বিশেষ ট্যুর করানোর পরিকল্পনাও রয়েছে প্রশাসনের।
ইতিমধ্যেই ৬ টি কটেজ ছাড়া একটি ক্যাফেটেরিয়া তৈরির কাজ চলছে। এ ছাড়া একটি সুইমিং পোল করারও পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। ফেনসিং বাউন্ডারি করে সুসজ্জিত আলো দিয়ে পর্যটন ক্ষেত্রটি সাজানোর ব্যবস্থাও হয়েছে। শেষ হয়েছে কাঁচারাস্তা পাকা করার কাজ। এর পাশাপাশি সংস্কারের কাজেও হাত দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ভেঙ্গে পড়া গড়ের সামনে একটি মন্দিরের সংস্কার ও গড়ের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। গড়ে যাওয়ার জন্য নদীর উপর একটি সেতু তৈরির কাজও চলছে। স্বর্ণাকায় পারাং নদী পেরোনোর জন্য এতদিন একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু ব্যবহার করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের মত,
ওই ব্রিজ হয়ে গেলে এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতে যেমন সমস্যা কমবে তেমন পর্যটকও আসবে।
মেদিনীপুর শহর থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে কর্ণগড় মহামায়ার মন্দির ও সংলগ্ন এলাকায় সাজিয়ে তোলার এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, "ওখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে এলাকার মানুষদের আর্থ সামাজিক ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটবে।"