ইন্দা বয়েজ স্কুলের সামনে। নিজস্ব চিত্র
পুরসভা নির্বাচন এগিয়ে আসায় ওয়ার্ডের কাজে নজর দিয়েছেন কাউন্সিলরেরা। তবে এখনও আবর্জনা নিয়ে শহরবাসীর ক্ষোভ মিটছে না। ওয়ার্ডের ভিতরে যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকছে আবর্জনা। শহরে গড়ে তোলা যায়নি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপন পদ্ধতি!
খড়্গপুর শহরে আবর্জনা সমস্যা দীর্ঘদিনের। একসময়ে শহরে আবর্জনা ফেলা হত শহরের উপকন্ঠে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। তবে সেখানে বাধা আসায় রেলের একটি ফাঁকা জমিতে আয়মা এলাকায় আবর্জনা ফেলা শুরু হয়। রেল বাধা দেওয়ায় সরকারের কাছে জমির দাবি করে পুরসভা। গোপালির কাছে একটি জমি পাওয়া গেলেও সেখানেও আবর্জনা ফেলায় গ্রামবাসীরা বাধা দেয়। এর পরে হিরাডি এলাকায় একটি জমিতে আবর্জনা ফেলার কাজে নামে পুরসভা। যদিও ওই জমিতে আবর্জনা ফেলা নিয়ে মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। পরবর্তীকালে শহরের তালবাগিচা ঘেঁষা একটি খাস জমি ঘিরে নিয়েছে পুরসভা। সেখানেই আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। অবশ্য এখনও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপন পদ্ধতি শহরে শুরু না হওয়ায় নিয়মিত আবর্জনা ওই জমিতে ফেলা নিয়ে জটিলতা দেখা যাচ্ছে।
ওয়ার্ডের ভিতরে দিনের অধিকাংশ সময়ে আবর্জনা জমে থাকছে। ইন্দার ২৩নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণলাল শিক্ষা নিকেতনের সামনে ভ্যাট থাকলেও তা উপচে রাস্তায় পড়ে থাকছে আবর্জনা। দূষণ ছড়াচ্ছে ওই এলাকায়। ওই স্কুলের শিক্ষিকা শহরের বাসিন্দা সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের স্কুলের ছাত্রদের প্রতিদিন এমন আবর্জনা পেরিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একই অবস্থা। এর প্রতিকার প্রয়োজন।”
শহরের সুভাষপল্লি, খরিদা, ভবানীপুর, নিমপুরা, তলঝুলি, সোনামুখি, কৌশল্যা, ইন্দা, তালবাগিচা, আয়মা এলাকায় আবর্জনা সমস্যা চরমে। পুরসভার দাবি, ওয়ার্ডের ভিতরে এই আবর্জনা মোকাবিলার দায়িত্ব কাউন্সিলদের। পর্যাপ্ত সাফাইকর্মীর অভাবের অভিযোগও উঠছে শহরে। পরিস্থিতি কাটাতে দ্রুত শহরে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপন পদ্ধতি চালু করতে চাইছেন পুর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শহরের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপন পদ্ধতির পরিকল্পনার জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে। খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “তালবাগিচা ঘেঁষা একটি জমিতে আবর্জনা ফেলছি। তবে মানুষকে সচেতন হতে হবে। ওয়ার্ডে আবর্জনা সাফাই হচ্ছে কিনা কাউন্সিলরদের দেখতে হবে।”