প্রতীকী ছবি।
করোনা সতর্কতায় সারা দেশে লকডাউনের জেরে আদালতের স্বাভাবিক কাজ বন্ধ। বিভিন্ন জরুরি মামলার বিচারের জন্য আদালত খোলা থাকলেও করোনা সতর্কতায় ভিড় এড়াতে আইনজীবীরা আদালতে আসছেন না। এই পরিস্থিতিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘ভিডিয়ো কনফারেন্সিং’ পদ্ধতিতে আদালতে মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে হাইকোর্ট রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা আদালতে মামলার শুনানি করার নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। সেই মতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে ১৬ এপ্রিল থেকে। বুধবার তমলুক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসেও অনলাইন পদ্ধতিতে মামলার শুনানি শুরু হল।
এদিন ময়না থানা এলাকার এক নাবালিকা অপহরণ মামলায় অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং পদ্ধতিতে শুনানি হয়। ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অর্ঘ্য আচার্য এজলাসে বসে মামলায় সরকারপক্ষের আইনজীবী সফিউল আলি খান ও আসামী পক্ষের আইনজীবী সুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এ উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনেন। শুনানির পরে বিচারক অভিযুক্ত জয়দেব পালকে ৫ হাজার টাকার বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন। জেল হেফাজতে থাকা ওই অভিযুক্তের শারীরিক পরীক্ষার পর তাকে বাড়িতে থাকার সময় করোনা সতর্কতাবিধি অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারপক্ষের আইনজীবী সফিউল আলি খান জানান, ১৭ মার্চ ময়নার বাসিন্দা ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল এলাকার যুবক জয়দেব পালের বিরুদ্ধে। ২৪ মার্চ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরদিন তাকে তমলুক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হয়েছিল। কিন্তু তখন লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় অভিযুক্তের হয়ে আইনজীবী আদালতে শুনানিতে অংশ নেননি। অভিযুক্ত নিজেই বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন জানিয়েছিল। বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। গত ৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলিতে জরুরি মামলার বিচারের জন্য ভিডিয়ো কনফারেন্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করে শুনানির নির্দেশ দেয়। ৯ এপ্রিল হাইকোর্ট রাজ্যের জেলা আদালতগুলিতে অনলাইন পদ্ধতিতে শুনানির নির্দেশ দেয়। এরপর অভিযুক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে জামিনের আবেদন জানায়। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এ দিন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে ময়না থানার ওই মামলার শুনানি হয়। তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্যে এই প্রথম মহকুমা আদালতে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং পদ্ধতিতে মামলার শুনানি হল।’’ এদিন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (প্রথম) সমিতা গৌরিসারিয়ার এজলাসেও ভিডিয়ো কনফারেন্সিং পদ্ধতিতে চারটি মামলার শুনানি হয়েছে ।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)