সস্ত্রীক দিবাকর জানা। নিজস্ব চিত্র
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় দল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন। সরানো হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ থেকে। তৃণমূলের সেই সাসপেন্ডেড নেতা দিবাকর জানা সোমবার বিলি করলেন ত্রাণ সামগ্রী। সঙ্গে নিয়ে ঘুরলেন পোস্টার। যাতে লেখা, তিনি শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। স্বাভাবিক ভাবেই লকডাউনেও বিতর্কে জড়িয়েছেন দিবাকর।
শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের প্রায় ৩০০ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। সোমবার দিবাকর এবং তাঁর অনুগামী কয়েকজন সোয়াবিন, ডাল, আলু, বিস্কুট ও সাবান প্রভৃতি সামগ্রীর প্যাকেট নিয়ে হাজির হন ওই এলাকায়। যেসব বাসিন্দারা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ওই সব সামগ্রী বিলি করেন। কিন্তু বিতর্ক বাধে খাদ্য সামগ্রী বিলির সময় করোনা সতর্কতার প্রচারপত্রে নিজের নামের পাশাপাশি পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়ায়। তাতে উল্লেখ রয়েছে, শুভেন্দুর অনুপ্রেরণায় তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবং প্রচারপত্রের নীচে নিজেকে শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলে উল্লেখ করেছেন।
একজন পদ হারানো সাসপেন্ডেড নেতার নিজেকে সভাপতি দাবি করে এ হেন কাজ করায় ‘চটেছেন’ তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।দলীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালেই তৃণমূল ব্লক নেতৃত্ব শুভেন্দুর কাছে এ বিষয়ে নালিশ জানান। তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড নেতা কীভাবে মন্ত্রীর ছবি দিয়ে নিজের নামে করোনা সতর্কতার প্রচারপত্র বিলি করেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দিবাকরের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মণ। তিনি বলেন, ‘‘দিবাকর দল থেকে সাসপেন্ড। এখন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদেও নেই। তা সত্ত্বেও নিজেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরিচয় দিয়ে এবং মন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে খাদ্য সামগ্রী বিলি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রীকে জানিয়েছি।’’
ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান তথা শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূল আহ্বায়ক শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে যে কেউ সাহায্য করতে পারেন। কিন্তু সাসপেন্ড হওয়া একজন নেতা ত্রাণ দেওয়ার নামে যেভাবে নিজের প্রচারপত্র দিয়ে নোংরা রাজনীতি করছেন তার ধিক্কার জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’ দিবাকরের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েত আইন মতো আমিই এখনও সভাপতি রয়েছি। অন্য জন ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।’’ গোটা ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)