বেশিরভাগ দোকানই খোলা থাকছে দিনভর। রামজীবনপুরে। নিজস্ব চিত্র
মেয়াদ বেড়েছে। দ্বিতীয় দফার লকডাউন কার্যকর করতে তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। অথচ রামজীবনপুর পুর-শহরে লকডাউনের নিয়ম-কানুন একেবারেই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে, বিপদের আশঙ্কা করছেন পুরবাসীদের একাংশ।
অভিযোগ, লকডাউনের মধ্যেও ঘাটাল মহকুমার এই পুর-শহরে বেশিরভাগ দোকানপাটই খোলা। শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই, বিক্রি হচ্ছে চা, কাপড়, জুতো, বই, মনোহারি জিনিসপত্র। কোথাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও বালাই নেই। অনেকে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রামজীবনপুরের পুরপ্রধান নির্মল চৌধুরী বলেন, “সব দোকান খোলা আছে এমনটা নয়। কারও খুব প্রয়োজন হলে দোকান খুলে কাপড় বা অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিচ্ছেন কেউ কেউ।” মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিকের আক্ষেপ, “হুগলির সীমানা রামজীবনপুর। দোকানপাট খোলা থাকায় অনেকেই রামজীবনপুরে এসে আড্ডায় মেতে উঠছেন। পুর-প্রশাসন ও পুলিশের আরও কঠোর হওয়া উচিত।”
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। মুদি দোকান, আনাজ বাজার, ওষুধের দোকান ছাড়া যাবতীয় দোকানপাট বন্ধ রাখারই কথা। ঘাটাল মহকুমার দাসপুরে ইতিমধ্যে একাধিক করোনা আক্রান্তের হদিশও মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে মহকুমার অন্য চারটি পুর-শহরে লকডাউনের বিধিনিষেধ বাসিন্দারা অনেকটাই মেনে চলছেন। অথচ রামজীবনপুরে ভিন্ন ছবি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিক্ষিপ্ত ভাবে শহরের বেশ কিছু দোকানপাট খোলা থাকছে প্রতিদিন। দোকানে ক্রেতাদেরও ভিড়ও হচ্ছে যথারীতি। ফাঁড়ি গোড়া, নতুন হাট, পুরাতন বাজার, পুরসভার বাজার, কালীতলা, স্কুল গোড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় এমন ছবি দেখা যাচ্ছে। জামাকাপড় হোক বা জুতো, বই, স্টেশনারি মালপত্র, মোবাইল, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম— সব কিছুর দোকানই খোলা থাকছে। সকাল থেকেই খোলা থাকছে দোকানগুলি। দুপুরে বন্ধ। ফের বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকান।
রামজীবনপুর পুরসভার মার্কেট কমপ্লেক্সও সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত দিব্যি খোলা থাকছে চায়ের দোকান। বাড়ছে ভিড়। শহরের প্রায় সব চা দোকানে সকাল থেকে জটলা দেখা যাচ্ছে। বাইপাস রাস্তার ধারে হোটেলের ভিতরে বসছে মদের আসরও। শহরের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, পুলিশি টহল ঠিকঠাক হচ্ছে না বলেই এমনটা হচ্ছে। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, কোনও নিয়মই পালন করা হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে ঘাটালের এসডিপিও অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, “দোকানপাট খোলা থাকার কথা নয়। রামজীবনপুরে পুলিশি অভিযান বাড়ানো হবে।”