কাটা গাছ মজুত করা রয়েছে। নিজস্ব চিত্র gopalpatrap@gmail.com
নদীর বাঁধ এলাকায় অনুমতি ছাড়া গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বিদায়ী প্রধানকে শো-কজ় করল বনদফতর। পাশাপাশি, মহকুমাশাসক, বিডিওকে চিঠি দিয়ে ওই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বন দফতর অনুরোধ করেছে। তাদের দাবি, প্রাথমিক ভাবে প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণেই পাচার হওয়া গাছ এখনও উদ্ধার করা যাচ্ছে না।
পটাশপুরের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কেলেঘাই নদীর বাঁধে থাকা গাছ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কেটে পাচার কারা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। জায়গাটি বন দফতরের অধিগৃহীত নয়। সেটি পটাশপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে রয়েছে। তবে বেআইনি ভাবে গাছ কাটার খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার বন দফতর ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে। বন দফতর সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৮১টি আকাশমণি এবং ইউক্যালিপ্টাস গাছ কাটা হয়েছে। কেটে নেওয়া গাছের অবশিষ্টাংশ মাপজোপ করে ওই গাছগুলি উচ্চতা ও পরিধি বার করা হচ্ছে।
বন দফতর সূত্রের খবর, অনুমতি ছাড়ায় কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যে ওই সব গাছ কাটা হলেও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে থানায় সরকারি ভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আর থানায় অভিযোগ না হওয়ায় পুলিশ ও বন দফতর পদক্ষেপ করতে পারছে না বলে দাবি। বন দফতরের বক্তব্য, তারা গাছের গুঁড়ি উদ্ধারের চেষ্টা করলেও পুলিশ সাহায্য করেনি। তাই আপাতত তারা গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে শো-কজ় করেছে। আগামী একুশ দিনের মধ্যে প্রধানকে ওই চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে। চিঠির উত্তরের প্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা রয়েছে জেলা বনদফতরের। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য বন আধিকারিক অনুপম খাঁ বলেন, ‘'পঞ্চায়েত প্রধানকে ওই ঘটনায় শো-কজ় করা হয়েছে। বন দফতরের জায়গা না হওয়ায় আমরা ব্লক ও মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। ব্লক প্রশাসন থানায় অভিযোগ না করায় ওই গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।’’
পুলিশের অবশ্য সাফ দাবি, লিখিতভাবে অভিযোগ আসেনি। তবে কাটা গাছের গুঁড়ি মজুত এবং গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, ব্লক প্রশাসনের দাবি বন দফতরের চিঠি থানায় অভিযোগের কপি হিসাবে পাঠানো হয়েছে। পটাশপুর-১ এর বিডিও বিধানচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘‘বন দফতরের পাঠানো চিঠি পটাশপুর থানায় অভিযোগের জন্য পাঠানো হয়েছে। বন দফতরকে সব রকমের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’’