TMC

পাল্টা সভায় সোহম, হল ভিড়ও

সোহম এ দিন বিজেপি’র পরিবর্তনের যাত্রার রথের চাকা ভেঙে গুঁড়িয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার বার্তা দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৪৪
Share:

পাঁশকুড়ায় সোহম। নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি’র কর্মসূচির পাল্টা হিসাবে জনসভা ছিল তৃণমূলের। সেই সভায় বিজেপি’র থেকে বেশি কর্মী-সমর্থক হাজির হবেন বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের পাঁশকুড়ার নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সেই মতো অভিনেতা তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সহ- সভাপতি সোহম চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে কার্যত উপচে পড়ল পাঁশকুড়ার নারায়ণদিঘির মাঠ। আর সেই মাঠর সভামঞ্চ থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনায় সরব হলেন সোহম।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ওই মাঠে সভা করেছিল বিজেপি। সভায় লোক না হওয়ার বিষয়টি হাতিয়ার করেই এ দিনের নিজেদের জনসভার প্রচার চালিয়েছিল তৃণমূল। এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ পাঁশকুড়া স্টেশন এলাকা থেকে একটি রোড শো শুরু হয়। তাতে সোহম এবং সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। ৫টার সময় রোড শো পৌঁছয় নারায়ণ দিঘির মাঠে। তার আগেই অবশ্য কানায় কানায় ভরে যায় গোটা মাঠ।

সভায় শুভেন্দুকে গদ্দার সম্বধন করে সোহম বলেন, ‘‘আমাদের দিদি মুখ্যমন্ত্রীর পদ বাদে বাকি সবই ওঁকে দিয়েছিলেন। আর উনি চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার। উনি ভুলে গিয়েছিলেন ওই চেয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্জন করেছেন।’’ পূর্ব মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে সোহম আরও বলেন, ‘‘অধিকারী পরিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরনাপন্ন হয়েছিল বলেই মানুষ ওঁদের চিনেছেন। শুভেন্দুকে রাজনীতিতে জন্ম দিয়েছেন মমতা। তার আগে কেউ ওঁকে চিনত না। আর এখন ছেলে মায়ের চেয়ে বড় হতে চাইছে।’’ শুভেন্দুর পাশাপাশি বিজেপিকেও এদিন আক্রমণ করেন সোহম। রাজনৈতিক ভাবে না পেরে সিবিআই দিয়ে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরক্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সোহম।

Advertisement

এ দিনের তৃণমূলের ওই জনসভায় সোহম, কৌশানী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের পূ্র্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি দীপ্তি জানা, ব্লক মহিলা সভানেত্রী কবিতা ঘড়া, পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান
নন্দকুমার মিশ্র প্রমুখ।

সোহম এ দিন বিজেপি’র পরিবর্তনের যাত্রার রথের চাকা ভেঙে গুঁড়িয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার বার্তা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক সিন্টু সেনাপতি বলেন, ‘‘উনি তৃণমূলের শেখানো বুলি আবৃত্তি করতে এসেছিলেন। সেটাই করেছেন।২০২১-এর নির্বাচনের পর তৃণমূলের এই সমস্ত ভাড়াটে নেতাদের আর দেখা যাবে না। মানুষ ইভিএমে জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement