প্রতীকী চিত্র
অবশেষে শীত দাপুটে ইনিংস খেলতে শুরু করেছে শহরে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ সূত্রে খবর, মেদিনীপুরে এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৭-৮ থেকে ১০- ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আগামী কয়েকদিন পারদ আরও নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের ডেপুটি ডিরেক্টর যতিশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মেদিনীপুরে তাপমাত্রা আরও নামতে পারে।’’ ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শহরে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে চলতি মরসুমের শীতলতম দিন ছিল ১৯ ডিসেম্বর। ওই দিন তাপমাত্রা নেমেছিল ৭.৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগের দিন, ১৮ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার ২০ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় প্রতিদিনই রাতের তাপমাত্রা নেমে আসছে স্বাভাবিকের নীচে।
পারদ যত নামছে, পাল্লা দিয়ে ভিড় বাড়ছে পার্ক, পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। কান ঢাকা টুপি পরে হাসি মুখে দোকান সামলাচ্ছেন পার্ক, পর্যটন কেন্দ্রগুলির আশেপাশের দোকানদারেরা। বুধবার, বড়দিনের দিনে মেদিনীপুরের অরবিন্দ শিশুদ্যানেও ভাল ভিড় হয়েছিল। মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, ‘‘বড়দিনে শিশুদ্যানে অনেকে এসেছিলেন। শিশুদ্যানে আসা ছোট ছেলেমেয়েদের কেক দেওয়া হয়েছে।’’
পারদ নামতে শুরু করার পরে জনজীবনে শীতের চেনা ছবিও ফিরে এসেছে। দিনভর ঝলমলে রোদে শীতের পোশাক পরে কাঁপছেন মানুষজন। সন্ধ্যার পরে শহরের অলিগলিতে আগুন জ্বেলে হাত- পা সেঁকা চলছে। রাত একটু গড়াতেই রাস্তাঘাট সুনসান হয়ে পড়ছে। শহরের সুস্মিতা পালের কথায়, ‘‘সপ্তাহ কয়েক আগেও অস্বস্তি হচ্ছিল। শীত কই! ভেবেছিলাম শীত হয়তো এই বছর আর পড়বেই না! এ বার শীত পড়েছে।’’ জানা যাচ্ছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা কেটে যাওয়াতেই গত কয়েকদিন ধরে শীতে কাবু মেদিনীপুরবাসী। শহরে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা নেই। কনকনে ঠান্ডা আরও বেশ কিছু দিন থাকবে।