কাজ চলছে ধীরে। কৌশিক সাঁতরার তোলা ছবি।
কাজ শুরু হয়েছিল বছর দু’য়েক আগে। বরাদ্দের টাকা এসেও প়ড়ে রয়েছে। তা সত্ত্বেও মাঝপথে থমকে রয়েছে নাড়াজোল পানীয় জল প্রকল্পের কাজ। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের উদাসীনতায় পাইপ লাইন সংযোগ তো দূর, এখনও সম্পূর্ণই হয়নি জলাধার তৈরি। অথচ, এই কাজ শেষের কথা ছিল তিন বছর আগে। জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের ঘাটাল মহকুমা বাস্তুকার আশুতোষ দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। কালীপুজোর পর কাজ শুরু হবে। দ্রুত জল সরবরাহও করা হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাসপুরের নাড়াজোলে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। পরিস্রুত জল তো দূর, নলকূপের ঘোলা জলই ভরসা। সমস্যা সমাধানের জন্য বাসিন্দারা বহুদিন থেকেই স্থানীয় পঞ্চায়েত,ব্ল ক প্রশাসন সহ এলাকার বিধায়কের কাছে দরবার করে আসছিলেন। বছর আড়াই আগে জেলা প্রশাসন নাড়াজোলে পানীয় জল প্রকল্পের জন্য উদ্যোগী হয়। টাকাও বরাদ্দ হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ আর্থিক সাহায্যে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর প্রকল্পটির দায়িত্ব পায়। বছর দু’য়েক আগেই কাজ শুরু হয়। নাড়াজোলের বাজরাকুণ্ডু গ্রামেই শুরু হয় জলাধার তৈরি। অন্য দিকে একই সঙ্গে পাইপ লাইন ও জলের ট্যাপ বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, কাজ শুরুর পর আচমকাই জলাধার সহ প্রকল্পের সমস্ত কাজই বন্ধ হয়ে যায়। আর বছর খানেক হতে চলল জলাধারের কাজ অর্ধেক হয়ে পড়ে রয়েছে। বন্ধ পাইপ লাইন সংযোগের কাজও।
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, বাজরাকুন্ডুতে জলাধারটি তৈরি হলে প্রায় তিন হাজার পরিবার উপকৃত হবেন। সারাদিনে চারবার জল সরবরাহও হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজ কেন বন্ধ হল এবং কবে থেকে কাজ শুরু হবে তা জানতে কয়েকমাস ধরে পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়া হলেও সদুত্তর মেলেনি। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান গগন সামন্ত বলেন, “কাজটি করছে জনস্বাস্থ্য দফতর। কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে আমরাও অন্ধকারে।”
কাজ বন্ধ কেন? দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “গত কয়েক মাস ধরে আমাদের দফতরের কয়েকজন অফিসার বদলি হলেন। ফলে ওই কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদাররা প্রথম পযার্য়ের টাকা ঠিকঠাক না পাওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। দ্রুত ঠিকাদারদের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মাস দু’য়েকের মধ্যেই প্রকল্পটি চালু হয়ে যাবে।”