তৃণমূলের হুমকির মুখেও দমেনি মানুষ: সেলিম

মানুষ রুখে দাঁড়ালে বন্দুকবাজের নিশানা কাজ করে না। তৃণমূলের নেতারা নানা হুমকি দিলেও মানুষ দমেনি বলে মন্তব্য করলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। শুক্রবার সকালে সিপিএম প্রার্থী তাপসী মণ্ডলের সমর্থনে হলদিয়ার ব্রজলালচকে রোড-শো ও পথসভা করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৬ ০১:২৭
Share:

হলদিয়ায় বামেদের পদযাত্রায় মহম্মদ সেলিম। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।

মানুষ রুখে দাঁড়ালে বন্দুকবাজের নিশানা কাজ করে না। তৃণমূলের নেতারা নানা হুমকি দিলেও মানুষ দমেনি বলে মন্তব্য করলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।

Advertisement

শুক্রবার সকালে সিপিএম প্রার্থী তাপসী মণ্ডলের সমর্থনে হলদিয়ার ব্রজলালচকে রোড-শো ও পথসভা করেন তিনি। সভায় মহম্মদ সেলিম দাবি করেন, “অনুব্রতকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলিয়েছিলেন, গুড়, বাতাসা, বোমা, পিস্তল দিয়ে ভোট লুঠ করবে। ভোট লুঠ করতে পেরেছে? মদন মিত্র ভেবেছিল, হাসপাতাল থেকে কামারহাটিতে সব করে দেব। মদন মিত্র তা পেরেছে?’’ পরক্ষণেই নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, ‘‘ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী যদি ভাবেন ৭২ ঘণ্টায় সব ঠিক করে নেবেন, তাহলে বুঝতে হবে ওঁর সাম্রাজ্যের সময় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত। শুভেন্দু আগে নন্দীগ্রাম সামলান, পরে হলদিয়া দেখবেন। আর মানুষ যখন খেপে যায় তখন শুভেন্দুর দাওয়া-পানি কাজ করে না।’’

সেলিমের দাবি, “মমতা বন্দোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূল মানুষের মেজাজ বুঝতে ভূল করেছে। গরম যেমন বাড়ছে তার থেকেও বেশি গরম হচ্ছে মানুষের মেজাজ।” এ দিন সিপিএম প্রার্থী তাপসীদেবীর সমর্থনে পথসভা করেন সেলিম। সভা শেষে পদযাত্রা শুরু হয়। ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হলদিয়া পুরসভা পর্যন্ত রোড-শো হয়।

Advertisement

দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে দল যে কিছু ভুল করেছিল এ দিন ফের তা স্বীকার করেন মহম্মদ সেলিম। তাঁর কথায়, “মানুষ ক্ষোভে, দুঃখে, অভিমানে আমাদের থেকে সরে গিয়েছিল। আমরা সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। ভুল শোধরানোর চেষ্টা করেছি। তাছাড়াও যারা ভুল করেছিল তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছি।” বাম-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় এলে সারদায় প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে মন্তব্য করেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘যারা সারদার টাকা লুট করেছে, যারা ঘুষ নিয়েছে, তাদের সম্পতি বাজেয়াপ্ত করে গরিব মানুষের টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।” তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল বিবেকানন্দ সেতুর মতো ভেঙে পড়বে। তৃণমূল ভেঙে পড়লে দলের কর্মীরাও তাতে চাপা পড়বেন। তাই এখন থেকে আপনাদের সেখান থেকে ফিরে আসার আহ্ববান জানাচ্ছি।”

সেলিমের কটাক্ষ, “টাকা চুরি, ঘুষের আইনি পথে বিচার হবে। চুরি, ঘুষের জন্য মানুষ চড় মারবেন কেন? তার ভাইপোকে এই জেলায় চড় মেরেছিল। শিক্ষা হয়েছে তাঁর?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উনি তো ঘুষের টাকা, সারদার টাকায় হেলিকপ্টারে ঘুরছেন। আর কলকাতা হাইকোর্ট প্রতিদিনই তৃণমূল সরকারকে চড় মারছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement