Maharashtra Assembly Election 2024

মাত্র ৯ সভা মহারাষ্ট্রে, মোদীকে খোঁচা কংগ্রেসের

২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। আজ ত্রিদেশীয় সফরে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে আর মহারাষ্ট্রে প্রচার করছেন না তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৪
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

হরিয়ানা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মাত্র আটটি জনসভা করেছিলেন। মহারাষ্ট্র নির্বাচনে মাত্র ন’টি জনসভা করলেন তিনি। কংগ্রেসের বক্তব্য, গত বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে নরেন্দ্র মোদী শেষ জনসভা করেছিলেন। সেখানেও বিশেষ ভিড় হয়নি। নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা কমছে বলেই তাঁর জনসভাও কমছে। বিজেপি অবশ্য যুক্তি দিয়েছে, ভোট ঘোষণার আগে নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন-শিলান্যাসে একাধিক বার মহারাষ্ট্রে গিয়েছেন। সেই অনুষ্ঠানেও কার্যত কেন্দ্রের ও রাজ্যের বিজেপির জোট সরকারের সাফল্য প্রচার করেছেন তিনি।

Advertisement

২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। আজ ত্রিদেশীয় সফরে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে আর মহারাষ্ট্রে প্রচার করছেন না তিনি। বিদেশ যাত্রায় রওনা হওয়ার আগে আজ নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্রের বিজেপির বুথকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সম্মেলন করেন। মহারাষ্ট্রের প্রথম জনসভাতেই তিনি হিন্দু ভোটকে এককাট্টা করার লক্ষ্য নিয়ে ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ বলে স্লোগান তুলেছিলেন। হিন্দু ভোটের বিভাজন রুখতে যোগী আদিত্যনাথের ‘বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’-র হুঁশিয়ারিই মোদীর মুখে ইতিবাচক সুরে শোনা গিয়েছিল।

আজ মোদী দাবি করেছেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের মানুষ ঐক্যের গুরুত্ব বোঝেন। কিন্তু কংগ্রেস তথা মহা বিকাশ আঘাড়ী সামাজিক বিভাজনের জন্য বিভিন্ন জাতকে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেয়। আমি যখন মানুষের মাঝে গিয়ে এক হ্যায় তো সেফ হ্যায় বলেছিলাম, তখন মানুষ সঙ্গে সঙ্গে তাগ্রহণ করেছে।’’

Advertisement

এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার আজ অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপি নির্বাচনে হার নিশ্চিত বুঝে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে চাইছে। হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে। তাই ‘বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ থেকে ‘ভোট জেহাদ’-এর মতো স্লোগান তুলছে।

মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের প্রচারে ন’টি জনসভাতেই নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য মোটামুটি একই ছিল। প্রতিটি জনসভাতেই তিনি ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ মন্ত্র আউড়ে দলিত, ওবিসি, আদিবাসী-সহ গোটা হিন্দু সমাজকে এককাট্টা হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। অন্য দিকে বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীসেরা ‘ভোট জেহাদ’-এর জিগির তুলে বলেছেন, মুসলিমেরা এককাট্টা হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছেন।

মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে আজ রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও প্রচারের ময়দানে গিয়েছিলেন। রাহুল গিয়েছিলেন অমরাবতী ও চন্দ্রপুরে। প্রিয়ঙ্কা ছিলেন শিরডি ও কোলাপুরে। মোদীকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেছেন, ‘‘বোন (প্রিয়ঙ্কা) আমাকে বলছিল, ও মোদীজির বক্তৃতা শুনেছে। মোদীজি একই কথা বারবার বলছেন। বোধহয় আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মতো তাঁর স্মৃতিশক্তি লোপ পাচ্ছে। তবে উনি সত্তর বছর আগের কথা ভোলেন না বলে দাবি করবেন। ছোটবেলায় জলে নেমে কুমির মেরেছিলেন বলে গল্প শোনাবেন। যদিও মোদীজিকে গঙ্গায় স্নান করতে দেখলে মনে হয়, উনি সাঁতার জানেন না।’’

নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্রে প্রচারে গিয়ে মহারাষ্ট্রের ভূমিপুত্র বিনায়ক দামোদর সাভারকর ও বাল ঠাকরের প্রশংসা করার জন্য কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন। আজ প্রিয়ঙ্কা পাল্টা নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের বিরুদ্ধে ছত্রপতি শিবাজি থেকে বাল ঠাকরের অপমান করার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর যুক্তি, মোদী সরকার সংসদ চত্বরে শিবাজির মূর্তি পিছনে সরিয়ে দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement