এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে বার বার বিডিও অফিস থেকে পঞ্চায়েতে বলা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। সেই কারণেই আজ তাঁদের এমন অবস্থা। হলদিয়ার সুতাহাটা ব্লকের আশদতলিয়া গ্রামে আন্ত্রিকের প্রকোপ নিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন গ্রামের মানুষ।
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, এলাকায় পানীয় জলের উৎস বলতে নলকূপ। এ ছাড়া রয়েছে পুকুর। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, গরম পড়ার আগে থেকেই পুকুরের জল শুকিয়ে আসছিল। নলকূপের জল পাওয়া গেলেও তা ঘোলা। জলের সমস্যা নিয়ে বিডিও অফিস থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সব জায়গাতেই বারবার দরবার করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। তার ফলেই এমন বিপত্তি। সুতাহাটার বাসিন্দা প্রাক্তন জেলা পরিষদের সদস্য আনন্দময় অধিকারীর অভিযোগ, প্রচণ্ড গরমে এলাকায় একাধিক পুকুর শুকিয়ে গিয়েছে। নলকূপগুলিও খারাপ। মানুষ বাধ্য হয়েই দূষিত জল পান করছেন। তার ফলেই এমন অবস্থা। অবিলম্বে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
বাম পরিচালিত সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নুর আলম বলেন, ‘‘ওই এলাকায় জলের কষ্ট রয়েছে। তবে ১৩-১৪টি নলকুপ আছে বলে জেনেছি। খোঁজ নিয়েছি বেশিরভাগই ঠিক আছে। কয়েকটির সমস্যা থাকায় দ্রুত সারানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান শিবানী বাখুলির অবশ্য দাবি, ‘‘নলকূপের জলে কোনও সমস্যা নেই।’’
তবে গ্রামে আন্ত্রিকের প্রকোপের খবর ছড়াতেই তৎপর হয় প্রশাসন। বিশেষ পর্যবেক্ষক দলকে আশদতলিয়া গ্রামে পাঠানো হয়। সুতাহাটার বিডিও সঞ্জয় সিকাদার নিজে এলাকায় গিয়ে আক্রান্তদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি জানান, প্রশাসনের তরফে সমস্ত রকম সাহায্য করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে নলকূপের জল থেকেই সমস্যা হয়েছে। জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
হলদিয়ার মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু নস্কর বলেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের বন্দোবস্ত করার জন্য।