Kangsabati River

চাঁদা তুলে সাঁকো গড়লেন গ্রামবাসীই

নদী পারাপারের জন্য গ্রামের মানুষজন চাঁদা তুলে নদীর ওপর তৈরি করলেন কাঠের সাঁকো। সেতু নিয়ে  প্রশাসনের এমন উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২০ ০২:২৯
Share:

কংসাবতী নদীতে সাঁকো তৈরি করছেন গ্রামের মানুষ।

এলাকার মানুষ নদীর ওপর সেতু চেয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই। আজ পর্যন্ত সেই দাবি মেটায়নি প্রশাসন। উল্টে প্রশাসনের নির্দেশে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অগত্যা নদী পারাপারের জন্য গ্রামের মানুষজন চাঁদা তুলে নদীর ওপর তৈরি করলেন কাঠের সাঁকো। সেতু নিয়ে প্রশাসনের এমন উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

Advertisement

পাঁশকুড়া ব্লকের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রাম গোবিন্দনগর। দোকান-বাজার থেকে স্কুল ইত্যাদি থাকলেও গ্রামে নেই কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নদীর অপরপাড়ে মাইশোরা পঞ্চায়েত এলাকা তুলনায় উন্নত। গোবিন্দনগর থেকে সড়ক পথে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। অথচ নদী পেরোলে মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যেই সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নার্সিংহোম। রয়েছে একাধিক স্কুল, বাজার, ব্যাঙ্ক। ফলে গোবিন্দনগরের মানুষজন বহুলাংশে নির্ভরশীল মাইশোরার ওপর। কিন্তু সেতু না থাকায় সাধারণ মানুষ থেকে রোগী সকলকেই পড়তে হয় সমস্যায়। আগে নৌকায় পারাপার চলছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসন নৌকা পারাপার বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। ওই জায়গায় পাকা সেতুর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরব তাঁরা। প্রশাসনিক স্তরে আবেদন জানানো হলেও আজ পর্যন্ত সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ।

অগত্যা নিজেরাই চাঁদা তুলে কংসাবতী নদীর ওপর সাঁকো তৈরি করছেন গোবিন্দনগর গ্রামের মানুষ। গ্রামবাসী শেখ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘‘কংসাবতী নদীর ওপর কংক্রিটের সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু প্রশাসন তাতে কান না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরাই চাঁদা তুলে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানাতে উদ্যোগী হয়েছি।’’ গোবিন্দনগর পঞ্চায়েতের প্রধান কালীপদ মাজি বলেন, ‘‘যে জায়গায় গ্রামবাসীরা সাঁকো তৈরি করছেন ওই জায়গায় সেতু তৈরির মতো জায়গা নেই। গোবিন্দনগর গ্রামের অদূরে মহাপুরে একটি কংক্রিট সেতু তৈরির আবেদন আমরা ইতিমধ্যে করেছি পূর্ত দফতরের কাছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement