মনকাড়া: এমন রাখিতেই মজেছে খুদেরা। নিজস্ব চিত্র
ছোটা ভীম, মোটু-পাতলু, ছুটকি, ডোরেমন। গত কয়েক বছরে কার্টুন চ্যানেলগুলির কল্যাণে এই সব চরিত্র এখন ঘরের লোক। খুদেদের দুনিয়ায় জনপ্রিয় এই সব চরিত্র এ বার বাজিমাৎ করছে রাখির বাজার। এই ‘লাইটিং রাখি’তে রয়েছে অন্য চমকও। চাপ দিলেই জ্বলে উঠছে আলো, আর সঙ্গে বাজছে মিঠে সুর।
আজ, সোমবার রাখি পূর্ণিমা। তার আগে খড়্গপুর শহরের দোকানে দোকানে এই আলো জ্বলা রাখির চাহিদা সব থেকে বেশি। খুদেরা রীতিমতো ঘেঁটে ভাইয়ের পছন্দের কার্টুন চরিত্র আঁকা রাখি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। গত বছরও রাখিতে কার্টুনের কদর দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তার এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না। এ বার অবশ্য ঘড়ির আদলে তৈরি ওই রাখিই বাজার কাঁপাচ্ছে। চাহিদা বুঝে দর হাঁকাচ্ছে দোকানিরাও। কোনও দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, তো কেউ বিক্রি করছে ৫৫টাকায়। গোলবাজারের রাখির পসরা সাজিয়ে বসা পবনজিৎ সিংহ বলেন, “এ বার দেখছি ছোটদের কাছে কার্টুন চরিত্র-সহ লাইটিং ব্যান্ডের রাখি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এই ক’দিনে এমন ৬০টা রাখি বিক্রি করেছি। এখন ৪৫ টাকা দামে বিক্রি করছি।”
বছর পাঁচেক আগে ছোটদের জন্য মিকি মাউস, হ্যারি পটারের ছবিওয়া রাখির চল ছিল। তবে গত কয়েক বছরে ছোটা ভীম, ডোরেমন, মোটু-পাতলুর মতো কার্টুন চরিত্রের জনপ্রিয়তা ভীষণ বেড়েছে। রাখিতেও তারই প্রতিফলন। খরিদা বাজারে ভাইয়ের জন্য রাখি কিনতে আসা খুদে তানভি গুপ্ত, আয়ূষি গুপ্তরা বলছিল, “আমরা ভেবেছিলাম ভাইকে ছোটা ভীমের রাখি দেব। কিন্তু ওর পছন্দ ডোরেমন। বাজারে লাইটিং রাখিতে ডোরেমন পাচ্ছি না। তাই খুঁজে বেরাচ্ছি। যত টাকাই হোক বাবাকে বলেছি ওই রাখিই কিনব।” খরিদার রাখি বিক্রেতা বিজয় পাটোয়ারি বলেন, “কার্টুন চরিত্রের ছবি দেওয়া রাখি গত বছর থেকেই বাজারে চলছে। কিন্তু এ বার লাইটিং ব্যান্ডে ছোটা ভীম, মোটু-পাতলু বেশি নজর কাড়ছে। কচিকাঁচারা এসেই ওই রাখি চাইছে।”
কিন্তু এই লাইটিং রাখি একবার খারাপ হলে মেরামতির উপায় নেই। আর বিক্রি না হলে ফেরত দেওয়াও যাবে না। ফলে, বেশি সংখ্যক রাখি দোকানে রাখতে ভয় পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গোলবাজারের দোকানি অঙ্কুর ত্রিবেদী বলেন, “আমি প্রায় ২ ডজনের বেশি লাইটিং রাখি বিক্রি করেছি এ বার। দাম ৩০টাকা রাখায় আগেভাগে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু শেষ সময়ে দেখছি চাহিদা আরও বাড়ছে। সঙ্গে দামও।”
তবে এ সবে নজর নেই রেলশহরের খুদেদের। লাইটিং রাখিতে পছন্দসই কার্টুন চরিত্র আর বাজনা বাজলেই হল।