ভাঙচুর হওয়া শীতলের আড়ত ও গুদাম। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল নেতা কুরবান শা খুনে নাম জড়িয়েছে মাইশোরার রাজশহর গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শীতল মান্নার। খুনের দিন পনেরো পর থেকে এলাকা ছাড়া শীতল। মঙ্গলবার রাজশহর বাজারে তাঁর ফুলের আড়ত ও গুদামে ভাঙচুর চালানো হয়। অভিযোগের তির কুরবান অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও নিহতের দাদা আফজল শা’র দাবি, এটা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষের বহিঃপ্রকাশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ অন্তত ২০০ জন কুরবান অনুগামী রাজশহর বাজারে শীতলের বন্ধ ফুলের আড়তে ভাঙচুর চালান। দোতলা ফুল আড়তের নীচে ছিল গুদাম। সেখানেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। শীতলের দাদা বংশী মান্না বলেন, ‘‘এ দিন দুপুরে কুরবানের লোকজন আমার ভাইয়ের আড়ত ও গুদামে ভাঙচুর চালায়। আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।’’ শীতলের ভাইপো বিশ্বজিৎ মান্না বলেন, ‘‘কাকার ফুলের আড়তে ভাঙচুর করা হয়েছে। কাকিমা পাঁশকুড়া থানায় ফোন করে সব জানিয়েছেন।’’
মাইশোরায় দলীয় কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন কুরবান। ঘটনায় পুলিশ বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান এবং শ্যুটার তসলিম আরিফ ওরফে রাজা সহ আট জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় ধৃত রাজা শীতলের বন্ধ গুদাম চিহ্নিত করেছিল। জানিয়েছিল, কুরবান খুনের অন্তত পনেরো দিন আগে ওই ঘরেই সে এবং অন্যরা রাত কাটিয়েছিল। এছাড়া, রাজা পুলিশকে জানায় রাজশহর গ্রামের খামার বাড়িতে শীতলই তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। এই তথ্য সামনে আসার পরই এলাকায় চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
উত্তেজনার অন্যতম কারণ খুনের পরে শীতলের ‘অভিনয়’। শীতল কুরবানের শোকসভা, প্রতিবাদ মিছিল-সহ সব কিছুতেই অংশ নিয়েছিল। সদ্য গঠিত মাইশোরা অঞ্চল তৃণমূলের কোর কমিটিতেও তাকে রেখেছিল দল। এর পরে খুনে তার জড়িত থাকার ঘটনা সামনে আসায় ক্ষোভ বেড়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূলের কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন কুরবানের দাদা আফজল শা। তিনি বলেন, ‘‘ভাঙচুরের কথা শুনেছি। এতে আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়। এটা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে।’’