ট্রফি হাতে বিরাট কোহলির সঙ্গে দয়ানন্দ। ছবি: সংগৃহীত।
বারবাডোজের ব্রিজটাউনের স্টেডিয়ামে হার্দিক পান্ডিয়ার শেষ বলের পরেই জয়ের আনন্দে মাঠে মুখ গুঁজে শুয়ে পড়েছিলেন রোহিত শর্মা। ডাগ আউট থেকে জাতীয় পতাকা হাতে মাঠে ছুটে ঢুকে পড়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্য সদস্যরা। ১৩ বছর পর ভারতের আবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার ওই আনন্দে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গেই সামিল হয়েছেন কোলাঘাটের এক ছেলে। খেলোয়াড় না হলেও ‘ফিটনেস স্টাফ’ ওই ছেলেটির আনন্দে সামিল তাঁর গ্রামও।
কোলাঘাটের জামিট্যার বাসিন্দা দয়ানন্দ গরানি ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস রক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন। শনিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে রুদ্ধ্বশ্বাস জয় পেয়েছে ভারত। গোটা দেশ ভারতের এই জয় উদযাপন করছে। আর এই জেতার আনন্দে কোলাঘাট সংলগ্ন রূপনারায়ণ লাগোয়া জামিট্যা গ্রামে কার্যত অকাল দীপাবলি শুরু হয়েছে। আনন্দ উৎসবে মেতেছেন জামিট্যা এলাকার ক্রিকেটপ্রেমীরা। আতস বাজির রোশনাইয়ে ভেসে যায় রূপনারায়ণের চর। জামিট্যায় জয় উদযাপনের উৎসবে উপস্থিত ছিলেন দয়ানন্দ গরানির স্ত্রী পিয়ালিও।
দয়ানন্দের প্রতিষ্ঠান জামিট্যা শহিদ মাতঙ্গিনী স্পোর্টস অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থীদের মিষ্টি মুখ করানো হয়েছে। জামিট্যা স্পোর্টস অ্যাকাডেমির সম্পাদক শ্যামলেন্দু আদক বলেন, ‘‘গত বছর ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর আমরা খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর গোটা জামিট্যা উৎসবের চেহারা নেয়। বহু মানুষ রাতেই পথে নেমে ভারতীয় ক্রিকেতের দলের নামে জয়ধ্বনি শুরু করেন। আমাদের কাছে এই জয়ের আনন্দ অন্যদের থেকে আলাদা, কারণ ভারতীয় ক্রিকেট দলের ট্রেনিং অ্যাসিস্ট্যান্ট দয়ানন্দ গরানি এই গ্রামেরই বাসিন্দা।’’
২০২০ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলে ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে যোগ দেন দয়ানন্দ। গত চার বছরে ভারত একাধিক টেস্ট সিরিজ ও ওয়ান ডে ম্যাচ জিতেছে। গত বছর বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে ভারত। সব কিছুতেই শরিক পূর্ব মেদিনীপুরের দয়ানন্দ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফোনে দয়ানন্দ বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস ছিল ফাইনাল জিততে পারব। দলের সবাই তাঁদের সেরাটা দিয়েছে। মাঠের পাশাপাশি, ড্রেসিংরুমেও একই আনন্দ। দেশের পাশাপাশি আমার গ্রাম এবং জেলার মানুষজনও এই জয়ে উচ্ছ্বসিত।’’