তাণ্ডবের নমুনা। ভাঙচুর বাস। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
খাল সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়েরা। অবরোধ সরাতে গিয়ে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বাধল খণ্ডযুদ্ধ। সোমবার দুপুরে বালিঘাই বাজারে ওই ঘটনায় পুলিশকে লক্ষ্য করে দফায় দাফায় ছোড়া হল ইট। ভাঙচুর করা হল একাধিক বাস-লরি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। ইটে জখম হন কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার।
স্থানীয় সূত্রে খবর পাহাড়পুর থেকে বালিঘাই পর্যন্ত সাড়ে ন’কিলোমিটার খাল সংস্কার শুরু করেছে সেচ দফতর। পাহাড়পুর থেকে বালিঘাই পুরনো ব্রিজ পর্যন্ত খালের দু’দিকে দখল সরিয়ে সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। পুরনো ব্রিজ থেকে বালিঘাই বাজার পর্যন্ত আধ কিলোমিটার অংশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি দখল করে তৈরি দোকানগুলি। দখল সরিয়ে সংস্কারের কাজ করতে গেলে কয়েকদিন আগে দোকানদারদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে ঠিকাদারকে।
বর্ষার আগে সম্পূর্ণ খাল সংস্কারের দাবিতে এ দিন মল্লিকপুর, টোলাকানা, মহানগর এলাকার কয়েকশো গ্রামবাসী বালিঘাই বাজারে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ অবরোধকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে ঝামেলা বাধে। অভিযোগ, পুলিশের দিকে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে অবরোধকারীরা। ইটের আঘাতে জখম হয় কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার। পুলিশ লাঠি চালিয়ে অবরোধকারীদের হটিয়ে দিলে উত্তেজিত জনতা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক বাস, লরিতে ভাঙচুর চালায়।
অবরোধকারীদের দাবি, পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালিয়েছে। এক অবরোধকারী বলেন, ‘‘প্রশাসন ইচ্ছা করে জবর দখল না সরিয়ে খাল সংস্কার বন্ধ রেখেছে। বর্ষার আগে দখল সরিয়ে খাল সংস্কার করতে হবে। তাই এই অবরোধ।’’
খবর পেয়ে এগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দুপুর একটা থেকে চারটে পর্যন্ত তিন ঘণ্টার বিক্ষোভে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। পুলিশের দাবি, তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে অবরোধকারীরা ইট ছোড়ে। অবরোধকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হলেও লাঠিচার্জ করা হয়নি।
খাল সংস্কার প্রসঙ্গে এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ প্রধান বলেন, ‘‘খাল সংস্কারের প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। জবরদখলকারী দোকান দারদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। নিয়ম মেনেই সম্পূর্ণ খাল সংস্কার কাজ শেষ হবে। কিন্তু যাঁরা উস্কানি দিয়ে এই ধরনের ঝামেলা করাচ্ছেন, প্রশাসনিক ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে হবে।’’