Firing

এ বার গুলি ব্যক্তিগত আক্রোশে!

শুক্রবার দুপুরেই খড়্গপুর গ্রামীণ থানার মাতকাতপুরে গুলি করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১৮
Share:

এই বাড়িতেই চলেছিল গুলি।

১২ ঘণ্টাও কাটেনি। ফের গুলি চলল খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকায়। এ বার অবশ্য ছিনতাই নয়, ব্যক্তিগত আক্রোশেই গুলি চলেছে বলে মনে করছে পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরেই খড়্গপুর গ্রামীণ থানার মাতকাতপুরে গুলি করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। ওই রাতেই ফের ঘাঘরা এলাকায় গুলি চলায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “একটা গুলি চলার অভিযোগ এসেছে। তবে অভিযোগকারী জখম হননি। এর পিছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”

কী হয়েছিল শুক্রবার রাতে?

Advertisement

ওই রাতে স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল রানাকে লক্ষ করে দু’জন দুষ্কৃতী গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গোপাল তখন স্থানীয় এক বিধবা মহিলার বাড়িতে ছিলেন। দুষ্কৃতীরা ওই বাড়িতে এসেই গোপালকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গুলিও চালায়। ওই বাড়ি থেকে একটি গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোপালের অভিযোগ, “বাড়িতে তখন কেউ ছিলেন না। দু’জন এসে আমার মুখে রুমাল চাপা দেয়। আমি পালাতে গেলে গুলি করে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি ছোট প্রোমোটার। ৪০ বছর এই এলাকায় রয়েছি। কেন গুলি চালাল বুঝতে পারছি না।” যে দু’জন এসেছিল তাদের একজন জন ও আরেকজন বাপ্পা নামে নিজেদের ডাকছিল বলেও দাবি করেছেন গোপাল।

তবে গোপালের ভাবমূর্তি নিয়েও এলাকায় নানা প্রশ্ন রয়েছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কয়েকবছর আগে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। প্রাক্তন স্ত্রী এখন কাঁথিতে থাকেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার এক বিধবা মহিলার বাড়িতেই থাকেন গোপাল। শুক্রবার রাতে ওই বাড়িতেই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই মহিলার দাবি, “স্বামীর মৃত্যুর পরে আমার সঙ্গে গোপালের সম্পর্ক রয়েছে। তবে ও কী কাজ করে জানি না। কারা কেন গুলি চালিয়েছে বলতে পারব না। ঘটনার সময় আমি ছিলামও না।”

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অপূর্ব মাইতির দাবি, ‘‘গুলি চলেছে বলে শুনেছি। তবে গোপাল বহু যুবকদের থেকে চাকরি দেবে বলে টাকা নিয়েছে। অনেকেই এসে ওর খোঁজ করে। ও সপ্তাহে সপ্তাহে মোবাইল নম্বর বদলায়। সেই কারণেই এই ঘটনা বলে আমার অনুমান।’’

গোপালের বাবা আইআইটির অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নরেন রানা ও মা পুষ্পবতী রানার দাবি, ছেলে বাড়িতেই থাকে না। সম্পর্কও নেই বললেই চলে। নরেনের দাবি, “ছেলে জমির দালালি করে বলেই জানি। তবে কিছুদিন আগে কয়েকজন এসে বলছিল সে নাকি চাকরি দেবে বলে টাকা নিয়েছে। আমরা এসব কিছুই জানি না।’’ গোপালের বাবারও দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই হামলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement