সিসিটিভি দেখে ধরা হয় দুষ্কৃতীদের গাড়িটি। —নিজস্ব চিত্র।
আবার ডাকাতির ঘটনা। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা। গ্রাহক সেজে একটি গয়নার দোকান থেকে বেশ কিছু গয়না নিয়ে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কিছু দূর যাওয়ার পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুই দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয়েছে গয়না। সোমবার গড়বেতা থানার ঘটনা।
ওই গয়নার দোকানের মালিকের বক্তব্য, আর পাঁচ জন ক্রেতার মতোই দোকানে ঢোকেন দু’জন। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন গয়না দেখার পরই আচমকা সোনার হার নিয়ে পালান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে দেরি করেনি পুলিশ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পড়ে তারা। খতিয়ে দেখা শুরু হয় দোকান এবং রাস্তায় লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। যে গাড়ি নিয়ে অভিযুক্তরা পালান, সেটি চিহ্নিত করা হয়। দু’জনকে ধরার জন্য আশপাশের নাকা পয়েন্টগুলোয় সজাগ নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তার কিছু ক্ষণ পরই চন্দ্রকোনা রোডের কিয়াবনি এলাকার নাকা পয়েন্টে ট্র্যাফিক পুলিশের নজরে আসে ওই গাড়িটি। ওই গাড়ি থামিয়ে ‘চেকিং’ করার সময় পাকড়াও হয় দুই দুষ্কৃতী। গড়বেতা থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় থানা এলাকায়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসের মধ্যে বড়সড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। একই দিনে একই সময়ে পুরুলিয়া শহর এবং নদিয়ার রানাঘাটে একই সংস্থার দুটি গয়নার শোরুমে ডাকাতি হয়। পরে তাতে গ্রেফতারও হয় ডাকাতদের কয়েক জন। দুটি ডাকাতির ঘটনায় ভিন্রাজ্যের ডাকাতদলের খোঁজ মেলে। কিছু দিন আগে খড়্গপুর শহরের গোলবাজারে রীতিমতো গুলি চালিয়ে ফিল্মি কায়দায় ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাতদল। পুলিশের তৎপরতায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে ডাকাতরা। এই ঘটনার পর আবার দুষ্কৃতীদের টার্গেট গয়নার দোকান। সোমবারের ঘটনায় ধৃতদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দুই দুষ্কৃতীকে। এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গড়বেতা এলাকায়।