নেই নতুন কার্ড, মিলছে না রেশনও

নতুন ডিজিট্যাল কার্ড ছাড়া মিলছে না রেশন। অথচ এখনও সেই ডিজিট্যাল রেশন কার্ডই পাননি খড়্গপুর শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা। ফল, রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৩৪
Share:

নতুন ডিজিট্যাল কার্ড ছাড়া মিলছে না রেশন। অথচ এখনও সেই ডিজিট্যাল রেশন কার্ডই পাননি খড়্গপুর শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা। ফল, রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। ডিজিট্যাল কার্ড রয়েছে এমন গ্রাহকের সংখ্যা কম হওয়ায় বরাদ্দও কম পাচ্ছেন রেশন ডিলারেরা। ফলে দোকান খুলেও লোকসানের মুখে পড়ছেন তাঁরা। উদাসীন প্রশাসন।

Advertisement

ডিলারদের দাবি অনুযায়ী, খড়্গপুর শহরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনও ডিজিট্যাল রেশন কার্ড পাননি। ২০১৬ সালে কিছু কার্ড বিলি হয়। বেশ কয়েকদিন পরে আরও ৭৮ হাজার নতুন কার্ড আসে। সেই কার্ড এখনও পুরো বিলি হয়নি। বাকি গ্রাহকদের নতুন কার্ডও আসেনি।

রেশন ডিলারদের দাবি, ডিজিট্যাল কার্ড ছাড়া খাদ্য সরবরাহ দফতর রেশন সামগ্রী বরাদ্দ করছে না। ফলে দোকান খুলেও লোকসানই হচ্ছে বেশি। খড়্গপুরের গোলবাজারের রেশন ডিলার নরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, “দোকান খুলেও লাভ হচ্ছে না। ডিজিট্যাল কার্ডধারী গ্রাহকের সংখ্যা অনুযায়ী বরাদ্দ মিলছে। শহরের সব গ্রাহক এখনও কার্ড না পাওয়ায় যে বরাদ্দ পাচ্ছি তাতে দোকানের খরচ তোলাও কঠিন হচ্ছে।”

Advertisement

নতুন কার্ড না পাওয়া গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে আগেও ডিলারেরা সরব হয়েছেন। দ্রুত সব গ্রাহককে কার্ড দেওয়ার দাবিতে গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে টানা দেড় মাস খড়্গপুর শহরের সব রেশন দোকান বন্ধও রেখেছিলেন ডিলারেরা। দফায় দফায় বৈঠকের পর খাদ্য সরবরাহ দফতর পুরসভাকে দ্রুত পড়ে থাকা ডিজিট্যাল কার্ড গ্রাহকদের বিলি করার কথা জানায়। একইসঙ্গে দিন পনেরোর মধ্যে দ্রুত নতুন কার্ড তৈরি করে বাকি গ্রাহকদের দেওয়ার কথা জানানো হয়। তারপর থেকে মাস তিনেক কেটে গেলেও এখনও কার্ড না মেলায় বাড়ছে ক্ষোভ।

খড়্গপুরের রেশন ডিলার সংগঠনের সম্পাদক শিশির রায় বলছেন, “আমাদের দফতর আশ্বাস দিয়েছিল, পনেরো দিনের মধ্যে কার্ড পাননি এমন গ্রাহকদের কার্ড দেওয়া হবে। কিন্তু তিনমাস হতে চললেও এখনও ৪০ হাজার গ্রাহক ডিজিট্যাল কার্ড পাননি। সকলে কার্ড পেলে ডিলারদের আয় কিছুটা বাড়ত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এখন যে বরাদ্দ মিলছে তা দিয়ে কোনও রকমে দোকান চালাতে হচ্ছে। ফের এ নিয়ে বৈঠকে বসব।”

খাদ্য সরবারহ দফতরের অবশ্য দাবি, এখন যে পরিমাণ রেশন সামগ্রী বরাদ্দ করা হচ্ছে তাতে ডিলারদের লোকসান হওয়ার কথা নয়। তবে সব গ্রাহকদের কার্ড বিলি সম্ভব হয়নি তা মানছেন দফতরের আধিকারিকেরা। খাদ্য সরবরাহ দফতরের জেলা নিয়ামক সুকোমল পণ্ডিত বলেন, “আমাদের দফতরে যে গ্রাহকেরা নতুন কার্ডের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১২ হাজার গ্রাহকের কার্ড তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে ফের আরও পাঁচ হাজার নতুন কার্ডের আবেদন আসে। আমরা সেই কার্ড তৈরির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি। দ্রুত সব কার্ড একসঙ্গে চলে আসবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement