ফেসবুকে ঘুরছে এমনই নানা পোস্ট।
দেশ জুড়ে লকডাউন। তার মাঝেও চলছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। পথে না নেমেই সমাজমাধ্যমেই চলছে জোর টক্কর।
বিজেপি সমাজমাধ্যমে প্রচার করছে, #ভয় পেয়েছে মমতা স্লোগানকে সামনে রেখে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ও নারায়ণগড়ের বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ সমাজমাধ্যমেই শুরু করলেন পাল্টা প্রচার। ‘এমএলএ প্রদ্যোতকুমার ঘোষ' নামে সমাজমাধ্যমের পেজে বিধায়ক স্লোগান দিয়েছেন, #ভাট বকছে বিজেপি। বিধায়কের দাবি, ‘‘তাদের (বিজেপির) মিথ্যাচারের পাল্টা নয়, রাজ্য সরকারের কাজকে মানুষের সামনে তুলে ধরতেই এই প্রচার।’’ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বেঙ্গালুরু ও ভেলোর থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনাতে বিশেষ ট্রেনের তালিকা দিয়ে প্রদ্যোত লিখেছেন #মানুষের পাশে দিদি।
বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলছেন, ‘‘আমরা সত্যিটা ধরিয়ে দিচ্ছি বলেই নেতাদের গায়ে জ্বালা ধরছে। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বিজেপির বিরুদ্ধে লিখে কিছু হবে না।’’
বিতর্ক সামনে এসেছে গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির একটি প্রতিযোগিতাকে ঘিরেও। গত ১০ মে থেকে 'এবিভিপি পশ্চিম মেদিনীপুর' নামে সমাজমাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে সংগঠনের পক্ষ থেকে হিন্দুদের ঐতিহ্যের সাজের ছবি পাঠাতে বলা হচ্ছে। সেই ছবি পোস্ট করা হচ্ছে সমাজমাধ্যমে। বলা হয়েছে লাইক, শেয়ার ও কমেণ্টের সংখ্যার ভিত্তিতে বাছাই পাঁচজন পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার। প্রতিযোগিতায় মান্যতা দেওয়া হয়েছে শাড়িকেই। নিয়মাবলী অনুযায়ী প্রতিযোগিতায় মেয়েরাই অংশ নিতে পারবে। এবিভিপির একে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি জেলা টিএমসিপির সহ সভাপতি মনোজ দেব। তিনি বলেন, ‘‘এইসময় প্রতিযোগিতার নামে এইসব করে ছাত্র সংগঠনটি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।’’ অভিযোগ না মেনে এবিভিপির জেলা প্রমুখ স্বরূপকুমার মাইতি বলেন, ‘‘বাড়িতে বসা ছাত্র-ছাত্রীদের অবসাদ গ্রাস করছে। এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরা ও বিনোদনের ভাব জাগাতেই এই প্রতিযোগিতা।’’