সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে বেপরোয়া স্পিডবোটের ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন এক পর্যটক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, যুবকের নাম রাকেশ বাগ। বছর সতেরোর ওই যুবকের বাড়ি হুগলির খানাকুলের হায়দারপুরে।
পরিবারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দিঘায় বেড়াতে এসেছিল রাকেশ। শুক্রবার সে স্নান করতে গিয়েছিল নিউ দিঘার সৈকতে। অভিযোগ, হঠাৎই একটি বেসরকারি সংস্থার স্পিডবোট রাকেশকে ধাক্কা দেয়। ফলে রাকেশের হাতে ও বুকে গুরুতর আঘাত লাগে। স্পিডবোটের কর্মীরা জখম রাকেশকে উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযোগ, কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে সেই স্পিডবোটের কর্মীরা রাকেশকে নুলিয়া বলে পরিচয় দেয়। এই ঘটনাতেই দিঘা জুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি না করে, কেন ওই জখম পর্যটককে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল? এই বেসরকারি স্পিডবোট সংস্থা ঘটনার খবর দিঘা থানাকে জানায়নি বলে অভিযোগ। দিঘা থানার পুলিশকে অন্ধকারে রেখে জখম পর্যটককে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায়, বেজায় চটেছে দিঘা পুলিশ। ইতিমধ্যেই নিউ দিঘার তিনটি বেসরকারি সংস্থাকে আপাতত স্পিডবোট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। জখম পর্যটক রাকেশ বাগ বলেন, “সৈকতে স্নান করছিলাম। হঠাৎই করে স্পিডবোটটি এসে আমাকে ধাক্কা মারে।’’
স্পিড বোটের আঘাতে পর্যটকের জখম হওয়ার ঘটনা, দিঘায় এই প্রথম নয়। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বারবার এমন ঘটনা ঘটতে থাকায়, স্পিডবোটগুলি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তুলেছেন পর্যটকদের একাংশ। যদিও স্পিডবোট সংস্থার এই ঘটনা সম্পর্কে বক্তব্য জানা যায়নি। তবে দিঘা থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই বেসরকারি স্পিডবোর্ট সংস্থাগুলির অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু এমন ঘটনা বারবার ঘটতে থাকায়, এবং পুলিশকে না জানানোয় তাদের স্পিডবোট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।