প্রতীকী ছবি।
জেলার শতাধিক স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শৌচাগার তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার।
প্রতিটি গ্রামে এবং পুরসভায় শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া ও প্রাথমিক পঠনপাঠনের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। অনেক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের যেমন নিজস্ব ঘর নেই, তেমনই বহু কেন্দ্রে নেই শৌচাগার। এর ফলে অঙ্গনওয়াড়িতে আসা শিশু এবং কর্মীদের সমস্যায় পড়তে হয়। সেই সমস্যা দূর করতে চলতি অর্থবর্ষে জেলার ২০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নতুন শৌচাগার তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ১৪০টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার তৈরির জন্যও।
প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে শৌচাগার তৈরির জন্য মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। পূর্ব মেদিনীপুরের সমস্ত বিদ্যালয়ে শৌচাগার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই আরও শৌচাগার তৈরিতে জোর দিচ্ছে জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দফতর। তাতেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং স্কুলগুলিতে শৌচাগার তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।
জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, বিদ্যালয়গুলির শৌচাগারের চাহিদা খতিয়ে দেখে মোট ১৪০টি বিদ্যালয়ে নতুন শৌচাগার তৈরির জন্য ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা করে বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শৌচাগার তৈরির জন্য ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে এইসব শৌচাগার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ওই সব শৌচাগার তৈরির কাজ শুরু হবে।
জেলা পরিষদের জন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস বলেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও বিদ্যালয়গুলিতে শৌচালয় গড়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। ওইসব শৌচাগার গড়ার জন্য একটি সংস্থাকে (নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন লোকশিক্ষা পরিষদ) দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’