টিকার জন্য বৃষ্টিতেও লাইনে। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটিতে। নিজস্ব চিত্র।
রাত থেকে হাসপাতালগুলিতে লম্বা লাইন। দিনের পর দিন লাইনে অপেক্ষা করেও মিলছে না করোনার প্রতিষেধক। এ বার হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহের দাবিতে ঘাটাল শহরে মিছিল করল শাসকদল তৃণমূল। রবিবার ঘাটাল শহর তৃণমূলের উদ্যোগে পুর এলাকায় মিছিল হয়। সেখানে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি, ঘাটাল পুরসভার হাসপাতালে টিকার মজুত বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। রাজ্য সরকারকে ইচ্ছাকৃত ভাবে পর্যাপ্ত করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে না, এই দাবি করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় তারা।
ঘাটাল মহকুমা জুড়েই করোনা টিকার আকাল দেখা দিয়েছে। মজুত না থাকায় মাঝে মধ্যেই বন্ধ থাকছে টিকাকরণ কর্মসূচি। কখনও টানা প্রথম ডোজ় বন্ধ থাকছে। কখনও আবার দ্বিতীয় ডোজ়। টিকাকরণ কর্মসূচি চালু থাকলেও রাত থেকে লাইনে অপেক্ষা করেও অনেককে ঘুরে যেতে হচ্ছে। ক্রমশ টিকার চাহিদাও বাড়ছে। তার সঙ্গে টিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তো রয়েইছে। ঘাটাল মহকুমা জুড়ে টিকার জোগান স্বাভাবিক এবং টিকা নিয়ে পক্ষপাতিত্ব বন্ধ করতে বিজেপি, সিপিএম-সহ সবকটি রাজনৈতিক দল-সহ একাধিক সংগঠন বিক্ষোভ, ঘেরাও কর্মসূচি করেছে। তারপরেও অবশ্য পরিস্থিতি বদল ঘটেনি।
এ বার করোনা ভ্যাকসিনের জোগান বাড়াতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করল শাসকদল তৃণমূলও। রবিবার ঘাটাল শহরের সব ক’টি ওয়ার্ডে ঘাটাল শহর তৃণমূলের উদ্যোগে মিছিল করে। সেখানে মূলত করোনা টিকা মজুত বাড়ানো এবং সংশ্লিষ্ট সকলেই যাতে সময়ে টিকা পান, তার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ না করার প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় ঘাটাল শহর তৃণমূল। ঘাটাল শহর তৃণমূল সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, “রাজ্য সরকারকে ইচ্ছাকৃত ভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষপাতিত্বের জেরে হাসপাতালগুলিতে টিকার আকাল। সাধারণ মানুষ হাসপাতালে এসে ঘুরে যাচ্ছেন।” যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরা ও বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট দু’জনেরই কটাক্ষ, “শাসকদলের ঘনিষ্ঠ না হলে টিকা তালিকায় নাম উঠবে না। ভ্যাকসিন যেটুকু আসছে, সেখানেও পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে।”