প্রতিবাদ: শুভেন্দু অনুগামীদের মিছিল বেলদায়। নিজস্ব চিত্র
নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে শারদ শুভেচ্ছায় শুভেন্দু অধিকারী ছবি লাগানো ফ্লেক্স ছেঁড়ার প্রতিবাদে পথে নামল 'দাদার অনুগামীরা'। বৃহস্পতিবার বেলদাতে শুভেন্দুর ছবি দেওয়া গেঞ্জি পরে ও বুকে তাঁর ছবি নিয়ে মৌন মিছিল হয়। যদিও ব্লক টিএমসিপি এ নিয়ে মৌন থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ষষ্ঠীর দিন বেলদায় শারদ শুভেচ্ছা জানাতে একটি করেছিল ব্লক টিএমসিপি। তার দুদিকে শুভেন্দুর নানা ছবির ফ্লেক্স লাগানো হয়। পরে বাকি ফ্লেক্স অক্ষত থাকলেও শুভেন্দুর ছবিগুলি ছেঁড়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। সেই ছবি সমাজ মাধ্যমে দিয়ে জেলা টিএমসিপির নেতা অভিযোগ করেন, বিরোধীরাই এই কাজ করেছে। যদিও বিজেপি-র দাবি ছিল, এ সব তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল।
সেই ছবি ছেঁড়ার প্রতিবাদ জানাতেই এ দিন পথে নামেন 'দাদার অনুগামীরা'। শুভেন্দুর ছবি নিয়ে বেলদা কালীমন্দির থেকে কেশিয়াড়িগামী মোড় পর্যন্ত মৌন পদযাত্রা হয়। বেলদা বাজারে ঘোরার কথা থাকলেও তা শেষমেশ হয়নি। মাঝপথ থেকেই ফের কালীমন্দির পর্যন্ত ফিরে যায় মিছিল।
প্রশ্ন উঠছে টিএমসিপির লাগানো ফ্লেক্স কে বা কারা ছিঁড়ল ? কেনই বা তার প্রতিবাদ জানাল না টিএমসিপি ? গত ২০ অক্টোবর অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে মিছিল করেছিল ব্লক যুব তৃণমূল। তারপরেই এই ঘটনা। এ কি তবে তৃণমূলের নিজেদের দ্বন্দ্বের ফল? বিজেপির নারায়ণগড় মধ্য মণ্ডলের সভাপতি শুভাশিস মহাপাত্রের কথায়, ‘‘পুলিশের বাধায় মিছিল মাঝপথ থেকে ফিরে যাওয়ার কারণ নিজেদের দ্বন্দ্বকে চাপা দেওয়া। প্রকারান্তরে এই ঘটনায় বিজেপির যে কেউ যুক্ত নয়, সে কথা স্বীকার করলেন ওঁরা। ওদের নিজেদের দ্বন্দ্বেই ফ্লেক্স ছেঁড়াছেঁড়ি হয়েছে।" এ দিন কেশিয়াড়ি, দাঁতন এবং খড়্গপুর থেকে এসে অনেকেই বেলদার মৌন মিছিলে পা মেলান। 'দাদার অনুগামী' শপথকুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা জননেতা শুভেন্দু অধিকারীর ফ্লেক্স ছিঁড়েছে। তাদের ধিক্কার জানাতে এই কর্মসূচি। যারা শুভেন্দু অধিকারীর মতো জননেতাকে আটকাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধেই এই প্রতিবাদ।’’