TMCP

কলেজের সরস্বতীও শাসকের কব্জায়

আমন্ত্রণপত্রে কেন শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নাম থাকবে সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে এবিভিপি- সহ বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশপুর শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৩২
Share:

সেই আমন্ত্রণপত্র। নিজস্ব চিত্র

কেশপুর কলেজের সরস্বতী পুজোর আমন্ত্রণপত্রে নাম রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি)। কলেজের পুজোর আমন্ত্রণপত্রে কেন শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নাম থাকবে সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে এবিভিপি- সহ বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। ওই আমন্ত্রণপত্রের শেষের দিকে লেখা রয়েছে, 'বিনয়াবনত: ছাত্রছাত্রীবৃন্দ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট।’ আর উপরে লেখা, ‘সবারে করি আহ্বান।’

Advertisement

কলেজের অধ্যক্ষ দীপক ভুঁইয়া অবশ্য পুজোর আমন্ত্রণপত্রে কার নাম রয়েছে আর কার নেই, সেই নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ! আমন্ত্রণপত্রে কেন শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নাম? অধ্যক্ষের জবাব, ‘‘ওই আমন্ত্রণপত্র আমরা করিনি। কলেজের ছেলেরা করেছে।’’ তবে কলেজের পুজোর আমন্ত্রণপত্রে যে কোনও ছাত্র সংগঠনের নাম থাকা অনুচিত তা মানছেন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা। শিউলির কথায়, ‘‘একটা ভুল হয়েছে। ভুলকে তো ভুল বলতেই হবে। তবে এটা জেনেশুনে ভুল নয়!’’ তৃণমূল বিধায়কের সাফাই, ‘‘কলেজে টিএমসিপির নতুন ইউনিট হয়েছে। যে বা যারা আমন্ত্রণপত্র তৈরি করেছে, সে বা তারা না জেনেই এই ভুলটা করে ফেলেছে!"

বিষয়টি নিয়ে এবিভিপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ মাইতির কটাক্ষ, ‘‘দল ও প্রশাসন সব মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে। সরকারি মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের প্রচার করেন। এ বার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুজোর দখলও নিতে চাইছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন।’’ তাঁর বক্তব্য, কলেজের পুজো কলেজ-কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে হবে। ছাত্র সংসদের উদ্যোগেও হতে পারে। উদ্যোগীদের মধ্যে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নাম আসে কি করে?

Advertisement

বছর তিনেক হল কলেজে ছাত্রভোট বন্ধ রয়েছে। তাই কলেজে এখন নির্বাচিত ছাত্র সংসদও নেই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অবশ্য দাবি, তেমন বড় কিছু ভুল হয়নি। টিএমসিপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কলেজের ছাত্র সংসদ টিএমসিপির দখলে রয়েছে। সেই সূত্রেই হয়তো আমন্ত্রণপত্রে টিএমসিপি ইউনিট লেখা হয়েছে। এবিভিপি অযথা এ নিয়ে জলঘোলা করছে।’’ কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি আবু বেলাল হোসেন বিধায়ক শিউলি- অনুগামী বলেই দলে পরিচিত। প্রথমে তিনি দাবি করেন, ‘‘ওই আমন্ত্রণপত্র কলেজ ছাপিয়েছে।’’ বিধায়ক ভুল স্বীকার করেছেন শুনে পরে তাঁর সংযোজন, ‘‘আমাদের ইউনিট নতুন হয়েছে। আমন্ত্রণপত্র আগের ইউনিট করেছে। আমরা করলে এমনটা হত না!’’ বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরে যে জলঘোলা হয়েছে তা মানছেন জেলা টিএমসিপির এক নেতা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যারা এমন কাজ করেছে, তাদের ধমকে দেওয়া হয়েছে! এমন ভুল আর আগামী দিনে হবে না’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement