Moyna Cooperative Election

শুভেন্দুর জেলায় সমবায় ভোটে প্রার্থীই দিতে পারল না বিজেপি! তৃণমূল জিতে গেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়

পূর্ব-দক্ষিণ ময়না জনসেবা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে অংশ নেন পূর্ব-দক্ষিণ ময়না, নোনাকুড়ি, শ্যামগঞ্জ, পূর্ব দোবান্ধি ও পাটনা গ্রামের ভোটারেরা। মোট ভোটার সংখ্যা ১০২৩ জন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ময়না শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫২
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

একে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা। তার উপর বিধানসভা কেন্দ্রটিও বিজেপির দখলে। পূর্ব মেদিনীপুরের সেই ময়নার একটি সমবায় ভোটে একটি আসনেও প্রার্থী দিতে পারল না প্রধান বিরোধী দল বিজেপি! প্রার্থী দিতে পারেনি বামেরাও। তার ফলে সমবায়ের সব ক’টি, অর্থাৎ ৪২টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেলেন শাসকদল তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।

Advertisement

পূর্ব-দক্ষিণ ময়না জনসেবা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে অংশ নেন পূর্ব-দক্ষিণ ময়না, নোনাকুড়ি, শ্যামগঞ্জ, পূর্ব দোবান্ধি ও পাটনা গ্রামের ভোটারেরা। মোট ভোটার সংখ্যা ১০২৩ জন। সমবায় সূত্রে খবর, সেখানে লেনদেনের পরিমাণ প্রায় সাত কোটি টাকা। এ হেন ‘এ’ ক্যাটেগরির ভোটে মনোনয়ন জমা নেওয়া শুরু হয়েছিল শনিবার। রবিবার ছিল শেষ দিন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনও বাম এবং বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি। ২০১৮ সালেও এই সমবায়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল। ঘটনাচক্রে, এই ময়না বিধানসভা কেন্দ্রটি গত ভোটে শাসকদলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। ১২৬০ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন বিজেপির অশোক ডিন্ডা। তার পরেও বিজেপি এই সমবায়ে প্রার্থী দিতে না পারায় তাদের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে শাসকদলের নেতারা।

তৃণমূলের ময়না-২ অঞ্চল সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক বলেন, ‘‘আগামী ২২ জানুয়ারি সমিতির সভাগৃহে ভোট হওয়ার কথা ছিল। শনি এবং রবিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য দু’দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিরোধীরা কোনও আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। আমরা ৪২টি আসনের সব ক’টিতে প্রার্থী দিয়েছি। এই কারণেই বিনা ভোটে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা জিতে গিয়েছেন।’’ এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement