Co Operative

পাঁশকুড়ায় সমবায় ভোটে তৃণমূলের ১২ গোল! নেতারা বললেন, কুৎসার বিরুদ্ধে জয় মানুষের

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই গোবিন্দনগর অঞ্চলে মাত্র দু’টি বুথে তৃণমূল এগিয়ে ছিল। বাকিগুলিতে তারা বিজেপির কাছে পরাজিত হয়। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দাবি তৃণমূলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৩২
Share:

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই গোবিন্দনগর অঞ্চলে মাত্র ২টি বুথে তৃণমূল এগিয়ে ছিল। —নিজস্ব চিত্র।

পাঁশকুড়া সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসকদলের বিরুদ্ধে ইতিউতি পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছিল। ভোটের আগে জোর শোরগোল উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার গোবিন্দনগরে। তবে রবিবার শেষ হাসি হাসল তৃণমূলই। ধনঞ্জয়পুর গোবিন্দনগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তারা। বিজেপি এবং সিপিএমকে পর্যুদস্ত করে ১২টি আসনের ১২টিতেই জয়ী হলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। ভোটে জিতে তৃণমূল নেতাদের মন্তব্য, “সমস্ত কুৎসার যোগ্য জবাব দিয়েছি। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একই ভাবে তৃণমূল জয় ছিনিয়ে আনবে।”

Advertisement

ধনঞ্জয়পুর গোবিন্দনগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ১২টি আসনে তৃণমূল এবং সিপিএম সবক’টিতে প্রার্থী দিয়েছিল। তবে বিজেপি লড়াই করে ১১টিতে। রবিবার সকালে ছিল ভোট। বিকেলে ভোট গণনা শেষ হতে দেখা গেল সবক’টিতেই জয়ী তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি এবং বাম প্রার্থীরা দখল করছেন তৃতীয় স্থান।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই গোবিন্দনগর অঞ্চলে মাত্র ২টি বুথে তৃণমূল এগিয়ে ছিল। বাকিগুলিতে তারা বিজেপির কাছে পরাজিত হয়। তবে সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল যে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সমবায় ভোটের ফল, তারই প্রমাণ বলে দাবি করেছে শাসক দল।

Advertisement

পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুজিত রায় জানান, “আজকের নির্বাচন বিরোধীদের কুৎসার যোগ্য জবাব। ১২জন প্রার্থীই বিপুল ভোটে সিপিএম এবং বিজেপিকে পরাস্ত করেছেন। মার্জিনের পরিমানও ব্যাপক। বিরোধীদের জামানত জব্দ করে দিয়েছে। ভোটের আগে আমাদের বিরুদ্ধে প্রচুর কুৎসা করা হয়েছিল। আমরা ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা কৃষি ঋণ দিই প্রতি বছর। এলাকার মানুষের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে এই সমবায় যুক্ত। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে।”

বিজেপির কিষাণ মোর্চার সহ সভাপতি অশোক জানার দাবি, “আমরা কোনও কুৎসার সঙ্গে যুক্ত নই। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল হতে পারে। তবে এই জায়গায় আগের দুটো টার্মে বিজেপির প্রার্থীরা দাঁড়াতে পারেননি। প্রচুর অত্যাচার হয়েছে এলাকায়। এ বার ১১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছি এবং দ্বিতীয় স্থান দখল করেছি। এটা আমাদের নৈতিক জয় বলেই মনে করছি।” প্রাক্তন বিধায়ক সেখ ইব্রাহিম আলি’র দাবি, “এই সমবায়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূলের নেতানেত্রীরা এই সমবায় থেকে বিপুল টাকা লোন নিয়ে তা পরিশোধ করেননি। তার পরেও এলাকার মানুষ ওঁদের সন্ত্রাসের কাছে হার মেনেছে। এলাকাবাসীকে সন্ত্রস্ত করে ওরা জিতেছে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওরা যোগ্য জবাব পাবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement