—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। কিন্তু সমিতি গঠনের ঠিক আগে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির দুই জয়ী সদস্য। যার জেরে বিজেপির ‘কব্জায়’ থাকা পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল শাসকদল। খেজুরি বিধানসভা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলেই পরিচিত জেলার রাজনীতিতে। সেখানে তাঁর দলের দুই সদস্যের শাসকদলে তৃণমূলে যোগদানের জেরে পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হওয়ায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, দলত্যাগী দুই সদস্যকে ভয় দেখানো হয়েছিল। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, উন্নয়নমূলক কাজে শামিল হতেই বিজেপির দুই সদস্য তাদের দলে যোগ দিয়েছেন।
খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ১৫টি। যার মধ্যে বিজেপি জয়লাভ করে ন’টি আসনে এবং তৃণমূল জেতে ছ’টি আসন। পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের আগে রবিবার বিজেপির টিকিটে জেতা দুই সদস্য উদয়শঙ্কর মাইতি এবং পিপাসা দাস আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করেন তৃণমূলে। এর ফলে খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আট। বিজেপির কমে দাঁড়ায় সাত।
শাসকদলে যোগদানের পরে উদয়শঙ্কর বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতিতে আমার জয়লাভ হয়েছে তৃণমূলের ভোটে। বিজেপির মধ্যে অনেক দিন ধরে রেষারেষি চলছে। বিজেপির বেশ কিছু নেতা আমাকে হারানোর চক্রান্ত করেছিল। যে গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয়লাভ করেছে, সেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির পঞ্চায়েত সমিতির আসনে আমি বিজেপির প্রার্থী হয়েও জয়লাভ করেছি। তৃণমূলের ভোটেই আমি জিতেছি বলে তৃণমূলে যোগদান করলাম।’’
এ প্রসঙ্গে খেজুরি বিধানসভার বিজেপির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, ‘‘তৃণমূল খেজুরিতে বোমা বন্দুকের রাজনীতি করছে। ইতিমধ্যেই আমাদের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে। তাই আমাদের দুই সদস্যকে নিশ্চিত ভাবে ভয় দেখিয়ে বোমা-বন্দুক দেখিয়ে অপহরণ করে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে।’’
তৃণমূলে যোগ দেওয়া পিপাসার স্বামী আশিস দাসেরও অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নিতেই পঞ্চায়েত সমিতির দুই বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’