ছেঁড়া হচ্ছে শুভেন্দুর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র।
উপলক্ষ ছিল কেন্দ্র সরকারের আনা কৃষি আইনের বিরোধিতা। কিন্তু তৃণমূলের সেই কর্মসূচি কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগের প্রতিবাদ সভায় পরিণত হল।
রবিবার দাঁতন হাসপাতালের সামনে থেকে সরাইবাজার পর্যন্ত প্রথমে মিছিল করে তৃণমূল। সরাইবাজারে হয় পথসভা। মিছিল থেকে রাস্তার দু’পাশে থাকা শুভেন্দুর ছবি ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হল। উপস্থিত তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভেই এই ঘটনা ঘটেছে। ছিলেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, জেলা নেতৃত্ব নির্মল ঘোষ, জেলা এসটি সেলের সভাপতি ভদ্র হেমব্রম, দাঁতন ও কেশিয়াড়ির বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান, পরেশ মুর্মু, ব্লক সভাপতি প্রতুল দাস। সভা থেকে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন তাঁরা।
বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন, ‘‘শুভেন্দুর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছি। এমন মীরজাফরের মতো কাজ করবে কেউ ভাবিনি। এখন ভাবছি কার সঙ্গে আমরা ছিলাম।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতির কটাক্ষ, ‘‘এতদিন মুর্শিদাবাদে মীরজাফর একা কবরে শুয়েছিল। একা অসম্মান নিয়েছিল। বাংলায় এবার আরও একজন এসেছে। তার নাম শুভেন্দু অধিকারী।’’ তাঁর দাবি, ‘‘টাকা দিয়ে যাদের অনুগামী করে পেছনে ঘুরিয়েছিলেন তাঁরাই এখন ওঁর (শুভেন্দুর) পোস্টারে চুনকালি লাগাচ্ছে।’’ তাঁদের তৈরি অস্থায়ী অফিসও এ দিন ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ করে দাঁতনের শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত রুদ্রাংশু বেরার পাল্টা দাবি, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। সেই ভয় থেকেই এ কাজ করেছে।’’
শুভেন্দুর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স, ফেস্টুন ছেঁড়া হয়েছে চন্দ্রকোনা রোড ও গড়বেতাতেও। শুভেন্দু অনুগামীদর দাবি, চন্দ্রকোনা রোডে ১৫-১৬টি ফ্লেক্স ছেঁড়া হয়েছে। গড়বেতায় ১০-১২ টি বিদ্যুতের খুঁটিতে টাঙানো শুভেন্দুর ছবি দেওয়া বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়। এই পিছনে তৃণমূল রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।