আবাস যোজনায় দুর্নীতির তদন্তে অস্বস্তি পুরসভায়

এ বার পুর এলাকার গরিবদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (হাউস ফর অল) পাকাবাড়ি তৈরিতে পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শহর কংগ্রেসের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরে তা নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। গত ৫ আগস্ট শহর কংগ্রেস সভাপতি শেখ জিয়াদ জেলা প্রশাসন, মুখ্যমন্ত্রী এবং পুরমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, ২০১৫-’১৬ আর্থিক বছরে শহরের গরিবদের জন্য পাকাবাড়ি তৈরির প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে ৫৪২ জন উপভোক্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ০০:৩২
Share:

এ বার পুর এলাকার গরিবদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (হাউস ফর অল) পাকাবাড়ি তৈরিতে পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতীকী চিত্র।

নয় জন নতুন কর্মী নিয়োগে পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে কর্মী বিক্ষোভ ও ধর্মঘটে অচল হয়েছিল তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপি প্রভাবিত কর্মী সংগঠনের সঙ্গে সামিল হয়েছিল তৃণমূল প্রভাবিত পুরকর্মী সংগঠনের সদস্যরাও। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন পুর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

এ বার পুর এলাকার গরিবদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (হাউস ফর অল) পাকাবাড়ি তৈরিতে পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শহর কংগ্রেসের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরে তা নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। গত ৫ আগস্ট শহর কংগ্রেস সভাপতি শেখ জিয়াদ জেলা প্রশাসন, মুখ্যমন্ত্রী এবং পুরমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, ২০১৫-’১৬ আর্থিক বছরে শহরের গরিবদের জন্য পাকাবাড়ি তৈরির প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে ৫৪২ জন উপভোক্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষের অনিয়মে আর্থিক ভাবে সচ্ছল এমন বহু পরিবার প্রাপক তালিকায় থাকার জন্য বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েছেন। অথচ প্রকৃত গরিব পরিবার ওই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। পুর কর্তৃপক্ষ ওই প্রকল্পের রূপায়ণে সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করেছেন। অভিযোগ পত্রের সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে এমন ৬৫ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়, যাঁরা আর্থিক ভাবে সচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও বাড়ি প্রাপ্রকের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন।

জেলা প্রশাসন ও পুরসভা সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই তদন্তে জেলা প্রশাসনের পুরসভা বিষয়ক দফতরের আধিকারিক ওই প্রকল্পে যে সব বাড়ি প্রাপকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বাড়িতে নোটিস পাঠিয়ে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, গত ২৬ আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে তমলুকে জেলা প্রশাসনিক অফিসে ওই শুনানি চলছে। বুধবারও কয়েকজনকে শুনানিতে ডাকা হয়।

Advertisement

তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তদন্তের নির্দেশে অস্বস্তিতে পুর কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শোরগোল পড়েছে। শেখ জিয়াদ বলেন, ‘‘গরিবদের পাকাবাড়ি তৈরির জন্য সরকারি প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হলেও তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে সরকারি চাকুরিজীবী সহ আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারকে ওই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের এমন দুর্নীতির তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ও জেলা প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। আশা করি সুরাহা হবে।’’

পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ ঠিক নয়। তবে কংগ্রেসের তরফে এই বিষয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে বাড়ি প্রাপকদের একাংশকে প্রশাসনের পুর বিষয়ক আধিকারিক শুনানিতে ডেকেছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement