শনিবারের মিছিল। নিজস্ব চিত্র
ভোট ঘোষণা হয়নি। দলীয় প্রার্থীতালিকাও ঘোষণা হয়নি। তবে ঝাড়গ্রাম লোকসভায় দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর আহ্বান জানিয়ে নয়াগ্রামে মিছিল করল তৃণমূল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে ঝাড়গ্রামে কিছুটা হলেও মাটি হারিয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি বিজেপি সক্রিয়তাও বেড়েছে এই জেলায়। গত ৫ বছরে সাংসদ তহবিলের ২৫ কোটির মধ্যে মাত্র ৬ কোটি টাকা খরচ করেছেন ঝাড়গ্রামের তৃণমূল সাংসদ উমা সোরেন। মুখ্যমন্ত্রী উমাকে সতর্ক করেছেন। তাতেও কাজ হয়নি। শেষবেলায় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কাছে বেশ কিছু প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছেন উমা। হাত ঘুরে সেগুলি ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের কাছে এসেছে। নির্বাচনী বিধি ঘোষণা হয়ে গেলে ওই প্রস্তাবের শিলান্যাস বা কাজ শুরু করার কোনও উপায় থাকবে না। ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য গত কয়েকদিন ধরে জেলায় শিলান্যাস ও প্রকল্প উদ্বোধনের ধূম পড়ে গিয়েছে বলে কটাক্ষ শুরু করেছে বিরোধীরা।
দলের অন্দরে অসন্তোষ থাকার বিষয়টি আঁচ করে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম জেলার লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গড়ে দেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই কমিটিতে আছেন জেলা চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা, জেলা আহ্বায়ক উজ্জ্বল দত্ত প্রমুখ। সেই কমিটিই শনিবার থেকে কাজ শুরু করল। মিছিল ছাড়াও ওই নির্বাচনী কমিটি এদিন নয়াগ্রাম ও গোপীবল্লভপুর ব্লকের স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কলকাতার রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সরেনকে। তারপরে তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, ঝাড়গ্রামে উমাই প্রার্থী হচ্ছেন। যদিও ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা বলেন, ‘‘প্রার্থী কে হবেন তা দলনেত্রী ঠিক করবেন। তবে প্রার্থী যেই হোন না, সবাইকে তাঁর হয়েই ঝাঁপাতে হবে।’’