দেব। —ফাইল চিত্র।
আজ, সোমবার ঘাটাল সফরে আসার কথা রয়েছে ঘাটালের সাংসদ দেবের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ দিন বিকেলের দিকে ঘাটাল পৌঁছতে পারেন সাংসদ। ঘাটালে অন্য দু’-একটি কর্মসূচির পাশাপাশি বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েও প্রশাসনিক বৈঠক করবেন দেব। তৃতীয়বার সাংসদ হওয়ার পর ঘাটালে দেবের প্রথম ওই প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে প্রশাসনিক পর্যায়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। মহকুমা প্রশাসন ছাড়াও কৃষি, সেচ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য-সহ জরুরি সংশ্লিষ্ট সব দফতরের আধিকারিকরাও থাকবেন। একই সঙ্গে বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের সার্বিক উন্নয়ন নিয়েও বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। যদিও ওই উন্নয়ন পর্ষদের কোনও দায়িত্ব এখনও নেননি দেব।
প্রতিশ্রুতি মতো জেতার পরই ঘাটাল-সহ গোটা লোকসভা এলাকার সাতটি বিধানসভায় ঘুরে ঘুরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করেছিলেন দেব। তারপর থেকে আজ, সোমবার ফের ঘাটালে আসছেন দেব। এ দিন দলীয় কোনও কর্মসূচি নেই সাংসদের। তবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করার কথা রয়েছে। বীরসিংহে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে ফিরেই ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতরে ওই প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘‘আজ সাংসদের প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে। তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’’
ভোটের আগে ঘাটালের বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বহু চর্চিত মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণার সঙ্গে দেবেরও একটা ভূমিকা ছিল। সে কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারে বারে বলেছিলেন। এখন ঘাটালে সেই বন্যার ভরা মরসুম। বৃষ্টির জোর না থাকায় ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি বহু দূরে। তবে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি জরুরি। সেই কথা মাথায় রেখেই জরুরি ওই বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেব। দু’দিন আগেই জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি ঘাটালে এসে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতির বৈঠক করে গিয়েছেন। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটে জেতার পর সাংসদের দ্বিতীয় ঘাটাল সফর। দলীয় কর্মীরাও উৎসাহিত। প্রশাসনিক বৈঠক সেরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করবেন। তার সঙ্গে শিলাবতী নদীর উপর তাঁর প্রস্তাবিত ফুটব্রিজ নিমতলা মা গাদিঘাটে হবে, তা নিয়ে সব পক্ষের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে পারেন দেব।