নিজস্ব চিত্র।
সোমবারও ঘাটালে বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের। গত সপ্তাহে টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভেসে গিয়েছে ডেবরা, দাসপুর, পিংলা, সবং, ঘাটাল, চন্দ্রকোনার বহু এলাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যার জেরে এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পিংলা, সবং, ডেবরা এবং ঘাটালের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)।
এ দিনও ঘাটাল থানার দন্দিপুর গ্রামের উদয়পুর এলাকায় খালের জলে একটি দেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতের নাম শ্যামল ঘোষ (২৭)।
বন্যার জেরে ঘাটালে ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি। দূর্বাচটি এলাকায় একাধিক বাড়ি হেলে পড়েছে। অন্য দিকে, শিলাবতী নদীর উপর ভাসাপুলে যাতায়াত এখনও বন্ধ। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে বলেই জানাচ্ছে প্রশাসন। মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘‘জল কমতে শুরু করেছে। নদীর জল কমায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।’’
জেলা প্রশাসন সুত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট ৯৩ হাজার ৯১৩টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ১১৬টি ত্রাণ শিবির চালানো হচ্ছে জেলায়। জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট।’’
নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দেব বলেন, ‘‘এখনও অনেক জায়গায় বন্যার জল আটকে রয়েছে। সেই জল যাতে দ্রুত নামে, আমাদের এখন সেই চেষ্টা করতে হবে। এক মাস অন্তর বৃষ্টি আর ডিভিসি-র জল ছাড়ার কারণে বার বার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এই লড়াইটা আমাদের একজোট হয়েই চালিয়ে যেতে হবে। ত্রাণ শিবিরে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কাছে যাতে সবকিছু দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করছি। জল নামলে কার কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে, তা দেখব।’’