নোনাকুড়ি বাজারে অবরোধ।
বিনা কারণে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে যাতায়াতকারী বিভিন্ন রুটের বাস থেকে টাকা আদায় করার অভিযোগ ছিল স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বাস কর্মীরা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় মঙ্গলবার ধুন্ধুমার বাধল তমলুকের নোনাকুড়ি বাজারে। হল রাস্তা অবরোধও।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে হলদিয়া-মেচাদা রুটের একটি বাসের কর্মীদের কাছ থেকে নোনাকুড়ি বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শাজাহান মল্লিকের নেতৃত্বে কয়েকজন টাকা চায়। বাস কর্মীরা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, ওই সময় তৃণমূলের লোকেরা বাসের এক খালাসিকে মারধর করে। এতেই ক্ষুদ্ধ বাসের কর্মীরা রাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে বাস দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের সঙ্গে সামিল হন ওই রাস্তায় যাতায়াতকারী অন্য রুটের বাস কর্মীরাও।
সকাল সাড়ে ৬টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ব্যস্ত রাজ্য সড়কে অবরোধের জেরে ব্যপক যানজট হয়। তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তুলে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাস থেকে জোর করে টাকা আদায় এবং মারধরের বিষয়ে কিছু লোকের বিরুদ্ধে বাস কর্মীরা মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন। কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মারধরে জড়িত অভিযুক্ত শাহাজান নোনাকুড়ি বাজার থেকে মেচেদা রুটের ট্রেকার ইউনিয়নের নেতা হিসাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। পাশাপাশ, তিনি ওই রুটের বাসের কাছ থেকেও জোর করে প্রতিদিন ২০-৩০ টাকা করে নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে বাস কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ছিল। এ দিন মারধরের পরে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বাস ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক মহম্মদ সামসের আরেফিন বলেন, ‘‘বাস কর্মীদের থেকে জোর করে টাকা আদায় করা হয়। তার প্রতিবাদ করায় বাস কর্মীকে মারধর করা হয়েছিল। তার প্রতিবাদ জানিয়ে বাস কর্মীরা অবরোধ করেছিলেন।’’
বিভিন্ন রুটের বাসগুলির কাছ জোর করে টাকা আদায়ের ঘটনায় তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় দলের ব্লক নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়েছেন। এ ব্যাপারে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূল আহ্বায়ক শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘শাজাহান মল্লিক ট্রেকার চলাচলের দেখাশোনা করেন। বাস থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ এ দিনই শুনলাম। এটা সমর্থন করি না। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।’’