—প্রতীকী ছবি।
ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর করে দেখাচ্ছে, পিছিয়ে খড়্গপুরই!
প্লাস্টিক মুক্ত শহর গড়তে এ বার ফেসবুকের ওয়ালে সরব হলেন একাংশ তৃণমূল কর্মী। কার্যত তাঁদের অভিযোগের তির সেই তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার দিকেই।
খড়্গপুর শহরকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে অভিযান চালানোর কথা বলেছিল পুরসভা। শহর অবশ্য এখনও প্লাস্টিক মুক্ত হয়নি। বরং আনাজ থেকে লন্ড্রি, দোকানে দেদার চলছে প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার। পুরসভার অভিযানের অভাবেই এমন সমস্যা থেকে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের এক সূত্রে আবার খবর, কোন্দলের জেরে পুরপ্রধানের বিরোধী গোষ্ঠীর কর্মীরা ফেসবুকে এই প্রচারে নেমেছে। যদিও তাতে পুরসভার কথা উল্লেখ করা নেই। ফেসবুকের দেওয়ালে তাঁদের প্রশ্ন, ‘ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর শহরকে যদি প্লাস্টিক মুক্ত করা যেতে পারে তাহলে খড়্গপুর শহরে কেন তা করা যাবে না?’
গত জুলাই মাসে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও খড়্গপুর পুরসভার যৌথ উদ্যোগে রেলশহরকে প্লাস্টিক ব্যাগ মুক্ত করতে প্রচার চালানো হয়েছিল। ৫০ মাইক্রনের কম ঘনত্বযুক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করলে কী ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়েও প্রচার চালানো হয়েছিল। এর পরে প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধে অভিযানে নেমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন পুরপ্রধান। ওই পর্যন্তই।
আনাজ বাজার থেকে লন্ড্রি, সর্বত্র ক্রেতার চাহিদা মেটাতে প্লাস্টিক ব্যাগ চালু রাখা হয়েছে বলে দাবি করছেন দোকানিরা। ইন্দার লন্ড্রির মালিক শক্তিপদ ঘড়া বলেন, “শহরের সর্বত্র তো প্লাস্টিক ব্যাগ চলছে। প্রশাসনিক উদ্যোগে সকলে বন্ধ করে দিলে আমরাও বন্ধ করে দেব। এখন সর্বত্র প্লাস্টিক ব্যাগ চলায় ক্রেতারা বাড়ি থেকে ব্যাগ না এনে জিনিসপত্র নিয়ে যেতে প্লাস্টিক ব্যাগ চাইছে। আমাদের ক্রেতাদের স্বার্থরক্ষায় তা দিতে হচ্ছে।” অথচ প্লাস্টিক আটকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নিকাশি নালার মুখ। বৃষ্টি হলেই নালা উপচে জলে ভাসে রাস্তা। যদিও এ নিয়ে খড়্গপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “আসলে আমাদের শহরে রেল এলাকা নিয়েই সমস্যা। সেখানে যে সমস্ত দোকানপাট রয়েছে তাঁরা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই সেখানে প্লাস্টিকের ব্যবহার চলায় পুর এলাকায় প্লাস্টিক বন্ধ করতেও সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা কালীপুজোর পর এই নিয়ে অভিযানে নামব।”