প্রতীকী চিত্র।
লক্ষ্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। ব্যাপক রদবদলের ইঙ্গিত এ বার তৃণমূলের ব্লকস্তরের সংগঠনেও। জানা যাচ্ছে, অপসারিত হতে পারেন বেশ কয়েকজন ব্লক সভাপতি। এ নিয়ে গুঞ্জনও তৈরি হয়েছে দলে।
দলের এক সূত্রে খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসেই ঘর গোছানো শুরু হবে। জেলা থেকে রাজ্যে প্রস্তাব যাবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের রাজ্য নেতৃত্বই। ওই সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। বৈঠকে আসন্ন রদবদলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১টি ব্লক, ৭টি শহর। দলের এক সূত্রে খবর, ৮টি ব্লকে এবং ৩টি শহরে দলের সভাপতি বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনই কিছু খোলসা করতে চাননি অজিত। তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলীয় বৈঠক করেছি। বিস্তৃতভাবে সাংগঠনিক পর্যালোচনা করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের দল যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেগুলি আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করেছি। ব্লক কমিটিগুলি নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।’’ ব্যাপক রদবদল না কি আসন্ন? অজিতের জবাব, ‘‘এখনই কিছু বলছি না। খুব দ্রুত বুঝতে পারবেন, আমাদের ব্লক কমিটি, অঞ্চল কমিটি, বুথ কমিটি কী ভাবে তৈরি হচ্ছে।’’ সপ্তাহ দুয়েক আগেই রাজ্যের অনেকগুলি জেলায় সভাপতি বদলেছে তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরে অবশ্য জেলা সভাপতি অজিত ও জেলা চেয়ারম্যান পদে দীনেন রায়ই ফের দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে মানস ভুঁইয়া, শিউলি সাহা এবং প্রদীপ সরকার— এই তিনজনকে জেলা কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে। প্রত্যেক কো-অর্ডিনেটরকে ৫টি করে বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দলের এক সূত্রে খবর, বিধায়কেরা ব্লক সভাপতির নাম প্রস্তাব করবেন কো-অর্ডিনেটরদের কাছে। কো-অর্ডিনেটরেরা সেই নাম জেলায় পাঠাবেন। জেলা থেকে প্রস্তাবিত নামগুলি দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে। একটি ব্লকের ক্ষেত্রে একাধিক নামও প্রস্তাব করা যেতে পারে। আসন্ন রদবদলে তৃণমূলের পরামর্শদাতা তথা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) টিমের পরামর্শের ছাপ স্পষ্ট থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তৃণমূলের অনেকে। দলীয় বৈঠকেও প্রসঙ্গটি ওঠে। ওই সূত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে, দলে প্রবীণ-নবীন এবং নতুন- পুরনোর ভারসাম্য রক্ষায় বিশ্বাসী টিম পিকে। তাই দলে সব গোষ্ঠীরই সমান অংশীদারিত্ব রাখার পরামর্শই পিকে-র টিম প্রথম থেকে দিচ্ছেন বলে দলেরই এক সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, যাঁরা ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হবেন, তাঁদের অধিকাংশকেই অন্যত্র ‘পুনর্বাসন’ দেওয়া হতে পারে।