প্রতীকী ছবি।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। অথচ পদ মেলেনি। দলবদলে আগ্রহ কমছে বিজেপি কর্মীদের। বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা-কর্মীদের ভোটের আগে কাজের সুযোগ করে দিতে খোদ তৃণমূলনেত্রীর কাছেই দরবার করলেন রেলশহরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার। সোমবার মেদিনীপুর শহরে জনসভার পর এই আবেদন জানান তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে প্রদীপের হাত ধরেই বিজেপি ছেড়ে চার নেতা-সহ ২৬জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন কমিটির জেলা সভাপতি শৈলেন্দর সিংহ ও বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ গুহ ছিলেন উল্লেখযোগ্য। তার পরেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিজেপি ছেড়ে ওই নেতাদের হাত ধরে অনেকেই তৃণমূলে এসেছেন। অথচ ওই চার নেতার কেউ তৃণমূলে পদ পাননি। ফলে ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালছে বিজেপিও। খড়্গপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর প্রদীপ বলেন, “মাস কয়েক আগে বিজেপি থেকে অনেকে এসেছিলেন। ওঁদের যাতে দলের স্বার্থে কোনও দায়িত্ব দিয়ে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয় সেই আবেদন দিদির কাছে করেছি।”
সোমবার মেদিনীপুরে সার্কিট হাউজ়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পৌঁছন প্রদীপ। সঙ্গে ছিলেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা প্রয়াত সাংসদ নারায়ণ চৌবের বৌমা হেমা চৌবে। হেমাকে জেলা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি করে দেওয়ার কথা জানান তৃণমূলনেত্রী। এর পরেই গত সেপ্টেম্বরে বিজেপি ছেড়ে আসা শৈলেন্দর সিংহ, রাজদীপ গুহ, সজল রায়দেরও পদ দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন প্রদীপ। বিজেপি থেকে আসা এই নেতা-কর্মীরা দায়িত্ব না পাওয়ায় এখন তৃণমূলে অনেকে আসতে চাইছেন না। জল মাপছেন। রাজদীপ বলেন, “পদ পেলে কাজের সুযোগ আরও বাড়বে। আমাদের পুরনো দলের অনেকে টিপ্পনী দিচ্ছে যে তৃণমূলে এসে তো ‘স্টেপনি’ হয়ে পড়ে থাকতে হচ্ছে। আমরা পদ পেলে যাঁরা বিজেপি ছেড়ে আসার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছে তাঁরা আরও আকৃষ্ট হবে।”
একই ভাবে শৈলেন্দরের মন্তব্য, “আমরা তৃণমূলে এসে প্রদীপদার থেকে সম্মান পাচ্ছি। কিন্তু পদ না পাওয়ায় আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পাচ্ছি না। ’’