আফজল শা (বাঁদিকে)। ভাইয়ের মৃত্যুর পরে। নিজস্ব চিত্র
ভাইকে রাজনীতিতে আসতে নিষেধ করেছিলেন তিনিই। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভাইয়ের জায়গায় সেই তিনিই নিলেন দলের দায়িত্ব।
কুরবান শা’র মৃত্যুর পর মাইশোরায় দলের দায়িত্ব কে নেবে এই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছিল গুঞ্জন।শুক্রবার কুরবানের স্মরণসভায় যোগ দিতে এসে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কুরবানের বড়দা আফজল শা’কে মাইশোরায় দলের হয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সেদিন শুভেন্দুর প্রস্তাবে নিজের সিদ্ধান্ত না জানালেও শেষপর্যন্ত রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে পারলেন না আফজল। মাইশোরায় দলের নতুন কোর কমিটির প্রধান করা হল তাঁকে।
জেলা তৃণমূলের একাংশের মতে কুরবানের মতো ডাকাবুকো নেতার অনুপস্থিতিতে দলের অন্দরে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। কুরবান থাকাকালীন মাইশোরায় বিরোধীদের সক্রিয়তা সেভাবে নজরে পড়েনি। বলা যায় তাঁর দাপটে মাইশোরায় বিরোধীরা কার্যত কোণঠাসা ছিল। কুরবানের মৃত্যুর পর রাতারাতি রাজনৈতিক রাশ ধরতে না পারলে বিরোধীরা মাথা তুলতে পারে এলাকায়, এই চিন্তা থেকেই তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব এদিন মাইশোরা বাজারে দলের জরুরি বৈঠক ডাকেন। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন এলাকার দলের সমস্ত বুথ সভাপতি, মাইশোরা অঞ্চল কমিটির সমস্ত সদস্য, দলের সমস্ত নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য ও ব্লক নেতৃত্ব। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ১১ জন সদস্যের একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয় কুরবানের দাদা আফজল শা’কে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মাইশোরা অঞ্চলে দলের সমস্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটি। কমিটিতে রয়েছেন কুরবানের স্ত্রী তথা মাইশোরা পঞ্চায়েতের প্রধান সাবানা বানু খাতুনও। দলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি দীপ্তি জানা বলেন, ‘‘জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে আমরা মাইশোরায় দলের সাংগঠনিক কাজ পরিচালনায় কোর কমিটি গড়েছি। তার প্রধান করা হয়েছে কুরবানের দাদা আফজল কে।’’
এ দিন দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর আফজলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শুভেন্দুবাবু আমাকে ভাইয়ের জায়গায় দেখতে চেয়েছেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতেই দলের দায়িত্ব নিলাম।’’