Kunal Ghosh on Lakshmir Bhandar

যাঁরা সন্ত্রাস চালাচ্ছেন, তাঁদের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ বন্ধের দাবি উঠছে! বললেন কুণাল

লোকসভা ভোটে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ উঠেছে, তার পর থেকেই কাঁথি লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা খেজুরিতে তৃণমূলের কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন বিজেপি সমর্থক এবং কর্মীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

খেজুরি শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪ ২২:০১
Share:

কুণাল ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

খেজুরিতে তৃণমূলকর্মীদের উপর হামলাকারীদের সতর্ক করে এলেন কুণাল ঘোষ। একটি জনসভায় কুণাল বলেন, ‘‘যাঁরা তৃণমূলের উপর হামলা করছেন, তাঁরাও তৃণমূল সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পান। তাঁরা জেনে রাখুন আপনাদের টাকা বন্ধের দাবি উঠছে। যাঁরা আপনাদের হামলার শিকার হচ্ছেন, তাঁরাই এই দাবি তুলছেন। এ-ও বলছেন, দরকারে তাঁদের টাকাও বন্ধ করা হোক, কিন্তু হামলাকারীরা যেন সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা না পান।’’

Advertisement

লোকসভা ভোটে বিরোধী দলনেতা শুভন্দু অধিকারীর এলাকা বলে পরিচিত কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ উঠেছে, তার পর থেকেই কাঁথি লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা খেজুরিতে তৃণমূলের কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন বিজেপি সমর্থক এবং কর্মীরা। খবর পেয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন খেজুরিতে। কথা বলতে বলেছিলেন সেখানকার আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে। শুক্রবার সেই প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়েই কুণাল গিয়েছিলেন খেজুরিতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক শিউলি সাহা এবং মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। এলাকায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ীই একটি জনসভাও করেন। সেই সভা থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন কুণালেরা।

খেজুরিতে তৃণমূল সমর্থক পরিবারগুলির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের উপায়ও বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে পুকুরের জলে বিষ মিশিয়ে দেওয়া, চাষাবাদ নষ্ট করার মতো অভিযোগও রয়েছে। সভায় এই হামলাকারীদের উদ্দেশে কুণাল বলেন, আপনারা এখনই শুধরে যান। যাঁরা এলাকায় সন্ত্রাস ছড়়াচ্ছেন, তাঁদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারির দাবি উঠেছে। মনে রাখবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশমন্ত্রীও। কিন্তু আমরা প্রতিহিংসা চাই না। তাই এলাকায় শান্তি বজায় রাখুন।’’

Advertisement

এর পরেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রসঙ্গ টেনে কুণাল বলেন, “পঞ্চায়েত দফতর হিসেব রেখেছে, খেজুরিতে ৬৮,৮৮৫ জন লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছে। কিন্তু খেজুরির অত্যাচারিত মহিলারা বলছেন, দরকার হলে আমাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দিন। কিন্তু ওই হামলাকারীদের আর লক্ষ্মীর ভান্ডার দেবেন না”। কুণালের সংযোজন, ‘‘বিজেপির কিছু দুষ্কৃতী যদি ঠিক করে তারা এ ভাবেই অশান্তি চালিয়ে যাবে, আমরা যে উদারতা দেখাচ্ছি তা যদি ওরা না মানে, তা হলে তাদের ভাল এ বার তারাই বুঝবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement