আবু তাহের। —ফাইল চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহের। ওই মামলায় শনিবার হলদিয়ায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে তাহের-সহ নন্দীগ্রামের মোট ন’জন তৃণমূল নেতাকে তলব করা হয়েছে। ওই তৃণমূল নেতাদের আশঙ্কা, জেরা করার জন্য ডেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দিন অর্থাৎ গত ৩ মে নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই সময় নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রাম এলাকায় গুরুতর জখম হন দেবব্রত মাইতি। এর পর কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মে দেবব্রতর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ওই ঘটনাতেই তাহের-সহ নয় জন তৃণমূল নেতাকে তলব করা হয়েছে। তাহেরের দাবি, “সিবিআই তদন্তের নামে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনে একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীকে জেলে ভরে রেখেছে। প্রভাবশালী তত্ত্বকে সামনে রেখে তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করছে। একই কায়দায় নন্দীগ্রামের আরও তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরও জেলে ভরার ছক কষেছে। এর আগে শুভেন্দু অধিকারী ১০০ জনের নামের তালিকা তৈরি করেছে বলে দাবি করেছিল। তার পরই সিবিআই নোটিস দিয়ে ডাকতে শুরু করেছে।’’ তাহেরের দাবি, “সিবিআই এই মামলায় চার বার সমন পাঠিয়েছে। আজও নয় জন তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আইনের পথেই সিবিআইয়ের মোকাবিলা করব।’’
নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পালের দাবি, “কোনও স্বশাসিত তদন্তকারী সংস্থা কাউকে ডেকে পাঠালে সেখানে হাজির হওয়া উচিত। কেউ না দোষ করে থাকলে তদন্তের সামনে দাঁড়াতে অসুবিধে কোথায়? যাঁরা তদন্তের সামনে যেতে ভয় পাচ্ছেন, তাঁদের মনে নিশ্চয় ধরা পড়ার ভয় আছে। অপরাধ না করলে এত ভয় কেন?’’
দেবব্রতর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমে গত ৩১ অগস্ট চিল্লোগ্রামে যায় সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে ওই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট সেখ সুফিয়ান-সহ বহু নেতাকর্মীকে ডেকে পাঠানো হয়। ওই মামলায় সুফিয়ান ছাড় পেয়ে গেলেও তাঁর জামাই-সহ বেশ কয়েকজন এখনও বন্দি।