দলের শ্রমিক সংগঠনের সভায় হাজির হচ্ছেন অভিষেক। নিজস্ব চিত্র।
নিজেকে জেলার সর্বেসর্বা ভাবেন। একটা লোক আপনাদের বারোটা বাজিয়েছে ১১ বছর। তৃণমূলে থেকে শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। আমিই বলেছি।
কিছু হলেই সিবিআই লেলিয়ে দিচ্ছে। বিজেপিকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আমিও সৈনিক, আপনিও সৈনিক, নেত্রী মমতা। আগামিকাল থেকে কাজে নামুন। শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে পথে নামুন।
যাঁরা প্রথম থেকে তৃণমূল করে, তাঁরাই টিকিট পাবে, বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ভোটে দলবদলুরা টিকিট পাবেন না। মানুষের দাবি নিয়ে নেতারা পথে নামুন। ১০০ দিন সময় দিন, একটাও ঠিকাদার থাকবে না।
১২ ঘণ্টার কাজ করিয়ে আট ঘণ্টার বেতন দেওয়া চলবে না। হলে মামলা হবে।
হয় ঠিকাদারি করুন নয় তৃণমূল, দুটো এক সঙ্গে করতে হবে না। কোনও দাদার প্রতিনিধি নয়, নেত্রীর প্রতিনিধি হতে হবে। শ্রমিক সংগঠন করলে খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি হতে হবে।
১১ বছর অপেক্ষা করেছেন। আমি তিন মাস সময় চাইছি। একটা ঠিকাদার থাকবে না।
ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে দিল্লির কাছে মেদিনীপুরকে বিক্রি করেছে। আপনাদের সবার বক্তব্য আমার কাছে আছে। আমরা দরজা খুললে ওদের দল উঠে যাবে।
মেদিনীপুরকে দিল্লির কাছে বিক্রি করেছে। নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ অভিষেকের। বলেন, ইডি-সিবিআই-এর ভয়ে পালিয়েছেন।
শুভেন্দুর অনুগামীদের কটাক্ষ অভিষেকের। বললেন, আজ থেকে আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হল সবার সঙ্গে। কিন্তু অনেক অনুগামী দলের বারোটা বাজানোর চেষ্টা করেছিল, তারা এই সভাতেও আছে। তাদের চিহ্নিত করেছি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় দু’ লক্ষ লোক দিয়ে সভা ভরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে তৃণমূল। সকাল থেকেই ভিড় জমছে শিল্পতালুক হলদিয়ায়।
বিধানসভা ভোটের আগে কাঁথিতে সভা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখান থেকে সদ্য তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে নিশানা করেছিলেন অভিষেক। তার পর এই প্রথম অভিষেকের জেলায় সভা করছেন অভিষেক।
৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। সভাস্থলের প্রায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশাল সংখ্যক পুলিশ ঘিরে রেখেছে শিল্প শহরের রাস্তাঘাট। ইতিমধ্যে সভায় যোগ দিতে শতাধিক গাড়ি নিয়ে সভাস্থলে হাজির হয়েছেন তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা। সভা সফল করতে গত কয়েকদিন ধরেই জেলা জুড়ে একাধিক সভা সমিতি করেছেন কুনাল ঘোষ, ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়রা। কাঁথি থেকে তমলুক, সর্বত্র মুড়ে ফেলা হয়েছে পোস্টার ও ব্যানারে। শুভেন্দুর জেলায় অভিষেকের ‘প্রথম’ সভায় লোক ভরানোরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে তৃণমূলের।