চন্দ্রকোনার ঝাঁকরা হাই স্কুল মাঠের সভায় তৃণমূল নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র।
ঝাঁকরার সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘ নো ভোট টু মমতা’ স্লোগান তুলেছিলেন। চারদিন পর সেই ঝাঁকরায় পাল্টা সভা থেকে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি করলেন, “শুভেন্দু ক্যামেরায় প্রচারের জন্য নো ভোট টু মমতা লেখা টি-শার্ট পরেছিলেন। ভোটের সময় নো উঠে গিয়ে ভোট টু মমতা হয়ে যাবে। সে টের পাবে না।” অজিতের হঁশিয়ারি “আগামী সবক’টা ভোটে বিজেপি তৃতীয় স্থানে থাকবে। বহু কেন্দ্রে তাদের জামানত জব্দ হবে।”
গত সোমবার ঝাঁকরায় স্কুল মাঠে বিজেপির কৃষক সমাবেশ ছিল। সেখানই উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। এ দিন চন্দ্রকোনার সেই ঝাঁকরার মাঠেই শুভেন্দুর পাল্টা সভার আয়োজন করে তৃণমূল। এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচায, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, তৃণমূলের জেলা কোর্ডিনেটর তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি, তৃণমূলের ঘাটাল জেলা সভাপতি আশিস হুতাইত, চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়া-সহ অন্য নেতৃত্বরা।
তৃণমূল শুভেন্দুর সভার চেয়ে পাঁচগুণ লোক জমায়েত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তাই এ দিন মঞ্চে উঠেই অজিতের দাবি, “রাজনীতিতে মানুষ শেষ কথা বলে। ওই দিন কত লোক ছিল,তা সকলে দেখেছে। আজ হাজার হাজার চন্দ্রকোনার মানুষ মাঠে উপস্থিত থেকে শুভেন্দুকে যোগ্য জবাব দিয়ে দিয়েছেন।”
সভার শুরুতেই শুভেন্দুর নাম করে চন্দ্রিমা বলেন, “উনি (শুভেন্দু) নাকি এখানে এসে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাকি প্রাক্তন করে দেবেন। আরে দু’দিন পরে তো তুমিই প্রাক্তন হয়ে যাবে।’’
সায়নী অবশ্য শুভেন্দুর নাম করেই বলেন, “শুভেন্দু সারাজীবন লোকের জন্য কিছু করেননি। যা করেছেন নিজের জন্য। এখন ওয়াশিং মেশিনে ঢুকেছেন। কালো জামা পরে তাই ঢুকেছিলেন। সাদা পাঞ্জাবি পরে বেরিয়েছেন।”