ছবি: সংগৃহীত
সিপিএমে’র মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল নন্দীগ্রাম।
আগামিকাল, সোমবার চণ্ডীপুরে বামেদের সমাবেশ রয়েছে। সেই সমাবেশে আসার কথা বাম নেতা তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, রবীন দেব-সহ অন্য রাজ্য নেতৃত্ব। সভা উপলক্ষে শনিবার নন্দীগ্রামে প্রচার চালাচ্ছিল সিপিএম। এ দিন নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর থেকে সোনাচূড়ার দিকে যাচ্ছিল তাদের প্রচার গাড়ি। তাতে দলের বেশ কয়েকজন কর্মী-স্থানীয় নেতা ছিলেন।
অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূলের বাইকবাহিনী ওই মিছল এবং প্রচার গাড়ির পিছু নেয় এবং বিরোধী দলের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে গালি দেন। সিপিএমের দাবি, দুপুর সাড়ে ১২ টায় প্রচার গাড়ি সোনাচূড়ায় পৌঁছলে বাম কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাদের প্রচারের ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়, তছনছ করা হয় দেওয়া হয় প্রচারের জন্য ব্যবহৃত মাইক্রোফোন-সহ অন্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী। অভিযোগ মারধরে, সিপিএমের নন্দীগ্রাম এরিয়া কমিটির সম্পাদক মহাদেব ভুঁইয়্যা-সহ চার বাম কর্মী আহত হন।
মহাদেব বলেন, ‘‘আসলে তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বামেদের পুনরুত্থান ওদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। তাই প্রচারে অহেতুক হামলা চালানো হচ্ছে। আমরা আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটব। এভাবে বাম শক্তিকে আটকানো যাবে না।’’ ঘটনায় অবশ্য থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
উল্লেখ্য, এক সময় লালদূর্গ নন্দীগ্রামে বর্তমানে বামদের কেবল একটি জায়গাতেই কার্যালয় খোলা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে নন্দীগ্রামে বামেরা বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের দাবিতে যে গণ স্বাক্ষর অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছিল, সেখানে বহু যুবক স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান করে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এলাকায় বাম শক্তি জোরদার হওয়ার আশঙ্কা করছে শাসকদল। হামলার যাবতীয় অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতা আবু তাহের বলেন, ‘‘এ রকম ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।’’