TMC

Purba Medinipur: অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে কলেজে নিয়োগ! শিক্ষককে নিয়ে হুলুস্থুল কাঁথি দেশপ্রাণ কলেজ

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এ নিয়ে লাগাতার রাজ্যকে নিশানা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। এ বার পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২২ ১৮:২৩
Share:

অধ্যক্ষের ঘরে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

বছর কয়েক আগে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি দেশপ্রাণ কলেজে বেশ কয়েকজন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। সেখানে বাংলার অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন নমিতা দাস। শুভেন্দু অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলেই তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে কলেজে বিক্ষোভ শুরু করলেন পড়ুয়াদের একাংশ। মঙ্গলবার কলেজের অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে এ নিয়ে অভিযোগও জানালেন তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল কলেজ চত্বরে।

Advertisement

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটির সদস্য আবেদ আলি খানের অভিযোগ, “ওই শিক্ষকদের নিয়োগের সময় ইন্টারভিউয়ের রেজাল্টের তালিকা দেখাতে পারেননি অধ্যক্ষ। তাই কলেজের বর্তমান পরিচালন কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।” আবেদের সংযুক্তি, “২০১৬ সালে দেশপ্রাণ কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। সেই সময় বাংলার অতিথি শিক্ষক হিসেবে অন্যদের টপকে তালিকার নীচে থেকেও নিয়োগ পান নমিতা দাস।”

এই বিক্ষোভে আবেদ ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের ইউনিট সভাপতি নিমাই দাস, জেলার সহ-সভাপতি তারাশঙ্কর পণ্ডা, ছাত্রনেতা নিতাই বারিক, রাজা পণ্ডা, শেখ সুরাজ, অরিন্দম দেবনাথ, রঞ্জিত দাস, শাফিউল আলি খান, আয়েত আলি খান, সঞ্জয় বারুইরা। সেখানে আবেদের দাবি, “নমিতা দাস আদতে শিশির অধিকারীর ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক মলয় দাসের স্ত্রী। মলয় দিল্লিতে সাংসদ শিশিরের অফিসে থাকেন। কলেজে নিয়োগের ক্ষেত্রে কী ভাবে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কাজ পেলেন, তা তদন্ত করে দেখা উচিত।’’

Advertisement

যদিও কলেজের অধ্যক্ষ সুবিকাশ জানা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিয়োগ নিয়ে অযথা বিতর্ক করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি অভিযোগের সুরে, “এ ভাবে নানা ইস্যু তুলে কলেজে নিত্যদিন বিক্ষোভ চলছে। সুবিকাশবাবুর কথায়, ‘‘আজ যে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সমস্ত নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে।” এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি। তাঁর প্রতিক্রিয়া পেলে প্রতিবেদনটি আপডেট করা হবে।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এ নিয়ে লাগাতার রাজ্যকে নিশানা করছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, খাতায়-কলমে শুভেন্দুর বাবা শিশির এবং ভাই দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূল সাংসদ থাকলেও কয়েক মাস ধরে দলের থেকে নিরাপদ দূরত্ব রচনা করেছেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধেই বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ তুলল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement